পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের ২য় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বিচারের কার্যক্রম এখনো শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নীরব ভূমিকার সমালোচনা করেন তারা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আবরারের স্মৃতি রক্ষার্থে বুয়েট প্রশাসনকে আমরা সর্বাত্মকভাবে পাশে চেয়েছিলাম। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে গত একবছরেও আমাদের ন্যায্য দাবিসমূহের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে পাইনি। এমনকি শিক্ষার্থীদের আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি ও সার্বিকভাবে তাদের নীরবতা আমাদের ব্যথিত করেছে। সম্প্রতি আমরা জানতে পেরেছি বুয়েট প্রশাসন আবরার ফাহাদের পরিবারকে মাসিক কিস্তিতে ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে বুয়েট প্রশাসনের পক্ষ হতে আবরার ফাহাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীকে সামনে রেখে আনুষ্ঠানিক শোকবার্তা প্রদান করা হয়েছে। আশা করছি একইভাবে বুয়েট প্রশাসন আবরার ফাহাদের স্মৃতির ক্ষার্থে তাদের নীরবতা ভেঙে দ্রুত তৎপর হবে।
বক্তারা বলেন, আবরার ফাহাদ আমাদের কারো বন্ধু, কারো ভাই কারো সহপাঠী, কারো অনুজ, কারো অগ্রজ। কিন্তু সব কিছুর ঊর্ধ্বে আবরার ফাহাদ আমাদের কাছে একটি বোধের নাম, যার আত্মত্যাগ আমাদের সাহসী করেছে সকল প্রকার সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দিতে।
আবরার ফাহাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা, একটি সন্ত্রাসমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক ও রাজনীতিমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতকরণে সদা অবিচল থাকার প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন। সেই সঙ্গে আবরার হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত সময়ে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।