পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনকিলাব ডেস্ক : ব্যবসা স¤প্রসারণ করতেই পুঁজিবাজারে আসছে বেঙ্গল পলি অ্যান্ড পেপার স্যাক লিমিটেড। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে বাজারে শেয়ার ছেড়ে ৫৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে কোম্পানিটি। আইপিওর রোড শো’র অনুষ্ঠানে এমন তথ্যই জানান কোম্পানির চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম। গুলশানের লেক শোর হোটেলে গতকাল রোববার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া হিসেবে কোম্পানিটির রোড-শো অনুষ্ঠিত হয়। এতে সম্ভাব্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে কোম্পানির পরিচিতি, আর্থিক অবস্থার বিবরণ, আইপিও ইস্যুর কারণ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। এ সময় কোম্পানির চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম, ভাইস চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিরোজ আলমসহ কোম্পানির এবং পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে পলি অ্যান্ড পেপার স্যাকের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম বলেন, সৎভাবে ব্যবসা করতে পারলে কোম্পানি তার লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে। আমরা কোম্পানির ব্যবসাকে পরিশ্রম করে এগিয়ে নেব। আমি মনে করি, এতে আমরা মুনাফা করতে পারব পাশাপাশি বিনিয়োগকারীরাও মুনাফার ভাগ পাবেন।
কোম্পানির পরিচালক হুমায়ন কবির বাবলু বলেন, এখন কোম্পানি বার্ষিক ব্যাগ উৎপাদন করে ৬ কোটি পিস। আগামী ডিসেম্বরে এই উৎপাদন আরও বাড়বে। জাম্বো ব্যাগ উৎপাদন পুরোপুরি চালু হলে প্রবৃদ্ধি আরও বাড়বে। সরকার ঘোষিত পাটনীতির কারণে তাদের ব্যবসায় সামান্য ক্ষতি হয়েছিল তবে তা মুনাফাতে তেমন প্রভাব ফেলেনি বলে মনে করেন তিনি।
রোড শোতে জানানো হয়, কোম্পানি মূলত পলিব্যাগ, সিমেন্ট ব্যাগ, সাদা ব্যাগ, মাছ ও মুরগির খাবারের ব্যাগ ও এফআইবিসি বা জাম্বো ব্যাগ তৈরি করে। যার মধ্যে জাম্বো ব্যাগ শতভাগ রপ্তানিমুখী।
৫৫ কোটি টাকা তুলতে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসবে কোম্পানিটি। ৫৫ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য যতগুলো শেয়ার বিক্রি করা প্রয়োজন, ততগুলো শেয়ার ইস্যু করবে কোম্পানি। সংগৃহীত অর্থের প্রায় ৬২ শতাংশ তথা ৩৪ কোটি টাকা ব্যয় করবে ব্যবসা স¤প্রসারণে। এই অর্থ দিয়ে কোম্পানি তৃতীয় ইউনিট স্থাপন করবে, যেখানে জাম্বো সাইজ (বড় আকারের) পলি ব্যাগ উৎপাদন করবে। এই ইউনিট হবে শতভাগ রপ্তানিমুখী। কাম্পানি আইপিওর ৩২ শতাংশ অর্থ দিয়ে ঋণ পরিশোধ করবে, এর পরিমাণ ১৮ কোটি টাকা। পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করা অর্থের মধ্য থেকে অপরদিকে ২৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৪০০ টাকা ব্যয় করা হবে নতুন যন্ত্রপাতি আমদানিতে। জমি ও কারখানা ভবনের অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় করা হবে ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৩২ হাজার ৬০০ টাকা। গভীর নলকূপ স্থাপনে ১০ লাখ টাকা, বৈদ্যুতিক তার ও লাইন স্থাপনে দেড় কোটি টাকা। সাব স্টেশন ও অন্যান্য বিষয়ে ২ কোটি টাকা। অপরদিকে কোম্পানি ১৮ কোটি টাকা ব্যয় করবে ব্যাংক ঋণ পরিশোধে। আইপিও প্রক্রিয়ার সম্পন্ন করার জন্য ৩ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা। অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ২৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস (ওয়েটেড এভারেজ) হয়েছে ২ টাকা ৭১ পয়সা। যা আগের বছর এই ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৩৫ পয়সা।
আলোচ্য বছরে কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৭ কোটি ৬০ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। যা এর আগের বছরে ছিল ৮ কোটি ৫ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। সর্বশেষ সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন শেষে শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৯৭ পয়সা। আর সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন বাদ দিলে শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য হয় ২২ টাকা ৮০ পয়সা।-ওয়েবসাইট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।