পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেইজিংয়ে সংবাদ সম্মেলনে চীনা সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আগামী ১৪ অক্টোবরের ঢাকা সফরকে মাইলফলক বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী খুং সুয়ান ইয়ৌ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চীনের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। শি জিনপিংয়ের এই ঢাকা সফর বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কে একটি মাইলস্টোন। বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল সোমবার প্রকাশিত এক খবরে চায়না ডেইলি এ তথ্য জানায়। সংবাদ সম্মেলনে চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী লি পাও তুং ও সহকারী মন্ত্রী খুং সুয়ান ইয়ৌ চীনের প্রেসিডেন্ট সফর সম্পর্কে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।
খুং সুয়ান ইয়ৌ বলেন, শি জিংপিংয়ের বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া ও ভারত সফর একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক কার্যক্রমের অংশ। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে চীনের সম্পর্ক জোরদার করা। তিনি বলেন, চীন-বাংলাদেশ ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। দুই দেশের মধ্যে আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা গভীর ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ সম্প্রসারিত হয়েছে।
চীনা প্রেসিডেন্টের সফর দু’দেশের সম্পর্কের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ‘ওয়ান বেল্ট-ওয়ান রোড’ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দু’দেশের জনগণের আরও বেশি কল্যাণ নিশ্চিতে যৌথ প্রচেষ্টায় আগ্রহী চীন।
চীনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত ৩০ বছরে এটি কোন চীনা প্রেসিডেন্টের প্রথম ঢাকা সফর। এর আগে ১৯৮৬ সালে চীনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লি শিয়াননিয়ান ঢাকা সফর করেন। শি জিনপিং ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কা এবং ২০১৫ সালে পাকিস্তান সফর করেন।
উল্লেখ্য, শি জিনপিং আগামী ১৪ তারিখ কম্বোডিয়া থেকে ঢাকায় আসবেন এবং এখান থেকে ভারতে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। শি জিনপিং প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদের আমন্ত্রণে ঢাকা আসছেন। তিনি ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকেও অংশ নেবেন। প্রেসিডেন্টের সফরের সময়ে চীনের প্রস্তাবিত রোড ও বেল্ট উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য অনেকগুলো চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে। এ চুক্তিগুলোর লক্ষ্য হচ্ছে অবকাঠামো উন্নয়ন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।