পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎ চেষ্টার মামলার আসামি হয়েছেন পাঁচ দিনমজুর। এর মধ্যে গ্রেফতার হয়ে চারজন কারাগারে রয়েছেন। তাদের জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে হাইকোর্টে। গত রোববার জামিন আবেদন সম্পর্কে গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের অবহিত করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
জামিনপ্রত্যাশীরা হলেন, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের নওদাবাঁস গ্রামের বিধবা ফুলমনি রানী, রণজিৎ কুমার, প্রভাস চন্দ্র, কমল চন্দ্র রায় ও নিখিল চন্দ্র বর্মন।
শিশির মনির জানান, জামিন আবেদনের বিষয়টি হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।
এর আগে গত ১৫ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকে ‘করোনা প্রণোদনার নামে প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে ৪ দিনমজুর কারাগারে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতারণার মাধ্যমে সরকারি প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগে দুই সরকারি কর্মকর্তাসহ ৯ জনের বিররুদ্ধ মামলা হয় গাজীপুরের শ্রীপুরে। এর মধ্যে গাজীপুর থানা পুলিশ ২ জুলাই চার দিনমজুরকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। আরেকজনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও তিনি গ্রেফতার হননি। সরকারি ২ কোটি ৪৬ লাখ ৯ হাজার ৯৬০ টাকা আত্মসাতের চেষ্টা মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।
অভিযুক্ত পাঁচ দিনমজুরের পরিবার জানিয়েছে, করোনা প্রণোদনা দেয়ার কথা বলে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। টাকা আত্মসাতের সঙ্গে তারা জড়িত নন। দারিদ্র্যতার সুযোগ নিয়ে ফাঁসানো হয় তাদের। এর আগে ১ জুলাই গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানায় মামলাটি করেন সোনালী ব্যাংকের শ্রীপুর হেডকোয়ার্টার শাখার ব্যবস্থাপক রেজাউল হক। মামলায় ওই চারজনসহ আসামি করা হয়Ñ শ্রীপুর উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা বজলুর রশিদ, হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর আরিফুর রহমান, মাস্টাররোল কর্মচারী তানভীর ইসলাম স্বপন ও ঢাকার উত্তরখান জামতলা এলাকার বাসিন্দা শাহেনা আক্তারকে।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ধরলা নদীর পাড়ে বড়ভিটা ইউনিয়নের নওদাবাঁশ গ্রামের বাসিন্দা ওই পাঁচ পরিবার বলছে, তাদের ভাগ্যে এমন বিপদ নেমে এসেছে সরকারি টাকা আত্মসাৎকারী একটি চক্রের প্রতারণার কারণে। বসতভিটার জমি ছাড়া তাদের নিজস্ব কোনো সম্পদ নেই বলে জানান। বাড়ি ছাড়া দিনমজুর সুবল চন্দ্র মোহন্ত বলেন, তারা গাজীপুর ও শ্রীপুরে কোনোদিন যাননি। তানভীর ইসলাম স্বপনই তাদের নিয়ে গেছেন। তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে প্রণোদনা পাইয়ে দেয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। তারা প্রণোদনার টাকার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এরমধ্যেই পুলিশ এসে চারজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এসময় তিনি বাড়ির বাইরে ছিলেন।
সোনালী ব্যাংক নাগেশ্বরী শাখার ব্যবস্থাপক শরিফুল আজম বলেন, ব্যাংক হিসাব চালুর কিছুদিন পর এই ৫ দিনমজুরের হিসাব নম্বরে ২ কোটি ৪৬ লাখ ৯ হাজার ৯৬০ টাকা চলে আসে।
এর মধ্যে রণজিতের সঞ্চয়ী হিসাবে ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার ৭২০ টাকা, প্রবাসের ৬৫ লাখ ৭২ হাজার ১২০ টাকা, সুবলের ৪০ লাখ ৭১ হাজার ৭২০ টাকা, কমলের ৪২ লাখ ৪৯ হাজার ৮৮০ টাকা এবং ফুলমণি রানির হিসাব নম্বরে ৪৮ লাখ ৭০ হাজার ৫২০ টাকা আসে। কয়েকদিন পর অপরিচিত ৩-৪ জন লোক এসব হিসাব নম্বর থেকে টাকা তুলতে এলে তার সন্দেহ হয় এবং শ্রীপুর হেডকোয়ার্টার শাখায় যোগাযোগ করে টাকা উত্তোলন বন্ধ করা হয়। কিন্তু অপরিচিত লোকগুলোকে আটক করার আগেই তারা ব্যাংক থেকে সরে যায় বলে জানান ব্যাংকের ব্যবস্থাপক শরিফুল আজম। হিসাব নম্বরধারী দিনমজুররা এসবের কোনো কিছুই জানতেন না বলে জানান তিনি।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজীব কুমার রায় বলেন, এটি শ্রীপুর থানার ঘটনা। শ্রীপুর থানা পুলিশই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তাদের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন চাওয়া হলে তারা বিস্তারিত জানাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।