পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
‘অন্যান্য সম্পদ’-এর শ্রেণিকরণ এবং সংস্থান নিশ্চিতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জালিয়াতি, ডাকাতি ও অর্থ আত্মসাৎ এখন থেকে খেলাপি হিসেবে দেখাতে হবে। জালিয়াতির অর্থ আদায়ের সম্ভাবনা না থাকলে পুরো অর্থ বা শতভাগই সংস্থান সংরক্ষণ (প্রভিশন) করতে হবে। তবে আদায়ের সম্ভাবনা থাকলে সংরক্ষণ করতে হবে ৫০ ভাগ।
গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অসমন্বিত অগ্রিম দফা, অসমন্বিত অগ্রিম আইনি খরচ, তছরূপকৃত অর্থ বা প্রটেস্টেড বিল এবং অন্যান্য ব্যয় বা ক্ষতিবাচক দফা প্রকৃতপক্ষে সম্পদ না হওয়ার পরও ‘অন্যান্য সম্পদ’ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। তাই আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের বার্ষিক আর্থিক বিবরণীতে ‘অন্যান্য সম্পদ’-এর শ্রেণিকরণ এবং সংস্থান নিশ্চিত করতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এখন থেকে অগ্রিম প্রদত্ত বেতন-ভাতা, ভ্রমণ ব্যয়, আপ্যায়ন ব্যয়, বিজ্ঞাপন ব্যয়, ব্যবসায় উন্নয়ন ব্যয় ১২ মাস বা তার বেশি সময় অসমন্বিত অবস্থায় থাকলে তা ‘মন্দ ও ক্ষতি’ মানে শ্রেণিকরণ (খেলাপি) করতে হবে। পাশাপাশি এ ধরনের ব্যয়ের বিপরীতে ১০০ শতাংশ অর্থ সংস্থান হিসাবে সংরক্ষণ করতে হবে। অসমন্বিত অগ্রিম আইনি খরচ যেকোনো অনিষ্পন্ন আইনি ব্যবস্থায় অনিশ্চয়তা বিদ্যমান থাকায় এ সংশ্লিষ্ট অসমন্বিত আইনি ব্যয় ‘সন্দেহজনক’ মানে শ্রেণিকৃত হবে এবং এসব ব্যয়ের বিপরীতে ৫০ শতাংশ সংস্থান সংরক্ষণ করতে হবে বলেও নির্দেশনায় বলা হয়েছে। সেইসাথে কোনো নিষ্পন্ন আইনি ব্যবস্থার বিপরীতে অসমন্বিত ব্যয় থাকলে সেগুলোকে ‘মন্দ ও ক্ষতি’ মানে শ্রেণিকরণ করে এসব ব্যয়ের বিপরীতে ১০০ শতাংশ সংস্থান সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জালিয়াতি, ডাকাতি, অর্থ আত্মসাৎ, তহবিল তছরুপ এমন সব বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে হিসাবের জন্য এ ধরনের খাত বা সম্পদ সৃষ্টি করা হয়। গুণগত মাপকাঠির ভিত্তিতে বিচার-বিশ্লেষণ করে প্রোটেস্টেড বিল থেকে আদায়ের সম্ভাবনা থাকলে তা ‘সন্দেহজনক’ মানে শ্রেণিকরণ করে এর বিপরীতে ৫০ শতাংশ অর্থ সংস্থান সংরক্ষণ করতে হবে। তবে প্রোটেস্টেড বিল থেকে অর্থ আদায়ের কোনো সম্ভাবনা না থাকলে তা ‘মন্দ ও ক্ষতি’ মানে শ্রেণিকরণ করে এর বিপরীতে ১০০ শতাংশ সংস্থান সংরক্ষণ করতে হবে। ‘অন্যান্য সম্পদ’ হিসেবে প্রদর্শিত অন্যান্য ব্যয় বা ক্ষতিবাচক দফাগুলোকে ‘মন্দ ও ক্ষতি মানে শ্রেণিকরণ করে এর বিপরীতে ১০০ শতাংশ সংস্থান সংরক্ষণ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।