পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারনে প্রায় ১৯ মাস ধরে বন্ধ হয়ে আছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় নিস্তব্ধতার মধ্য দিয়ে পার করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। নতুন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ স্তব্ধতার বেড়া ভেঙে কোলাহলে রুপ নিয়েছে মতিহারের এই সবুজ ক্যাম্পাসটি। এ যেনো নতুন করে প্রাণ ফিরে পেলো রাবি ক্যাম্পাস।
গতকাল সোমবার রাবি ‹সি› ইউনিটের (বিজ্ঞান) পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ৪ হাজার ১৯১টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষা দিয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৬৪৭ শিক্ষার্থী। ফলে প্রতি সিটের জন্য লড়ছে প্রায় ৩১ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।
এদিন বেলা বাড়ার সাথে সাথে অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে শুরু করেন। পরীক্ষার আগ মুহুর্তে ক্যাম্পাসের গাছতলা, একাডেমিক ভবন, বিভিন্ন চত্বরসহ ক্যাম্পাসের নানান জায়গায় অবস্থান করে পরীক্ষার শেষ প্রস্তুতিটা ঝালিয়ে নিতে দেখা গেছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের। ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি একাডেমিক ভবনের সামনে অধীর আকাঙ্ক্ষার স্বপ্ন নিয়ে অপেক্ষা করছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা।
মেয়ের ভর্তি পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম থেকে আসা এক অভিভাবক বলেন, আমরা অনেক দূর থেকে এসেছি। এখানে এসে আবাসন সঙ্কটসহ বেশকিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। এজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাও যদি বিভাগীয় শহরগুলোতে আঞ্চলিক কেেেন্দ্র নেয়া হতো তাহলে দূরের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের কষ্ট অনেকাংশে লাঘব হতো।
ঢাকা বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা ছেলে বাসিত আল সিদ্দিক সাম্য পরীক্ষা দেবেন ‹সি› ইউনিটে। কেন্দ্র পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ একাডেমিক ভবনে। ছেলেকে হলে ঢুকিয়ে অপেক্ষা করছেন তার মা সেলিমা ডেইজী। তিনি জানান, আমি ঢাকা থেকে এসেছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও পরিবেশ দেখে আমি মুগ্ধ। করোনাকালীন সময়ে আমার ছেলে ভর্তি পরীক্ষার জন্য মোটামুটি ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে। আমার প্রত্যাশা সে চান্স পাবে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের তথ্য সরবরাহ ও প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, ছাত্র অধিকার পরিষদ, সামাজিক সংগঠন, ছাত্র সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন জেলা সমিতির। তাদের পক্ষ থেকে অস্থায়ী তথ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ, স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করা, খাবার পানির ব্যবস্থা, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ, কলম ও আনুষঙ্গিক শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত অথচ পরীক্ষা কেন্দ্রে বহন অনুপযোগী জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করা হয়।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ৪০ টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পরীক্ষা ঘিরে ক্যাম্পাসে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ৯ শতাধিক সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।