পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বছরের ব্যবধানে ৭৫ শতাংশ দাম বেড়েছে
ইখতিয়ার উদ্দিন সাগর : চাহিদার তুলনায় দেশে পর্যাপ্ত চিনি মজুদ আছে। তারপরও দেশের বড় কোম্পানিগুলো এ বছর বেশ কয়েকবার কৃত্রিম বাজারে সংকট সৃষ্টি করে। সংকট সৃষ্টি করে তারা দাম বাড়ানোর টালবাহানা করে। তাদের এই সংকটের ফলে চার দফায় এ বছর আগের বছরের তুলনায় ৭৫ শংতাশ দাম বেড়েছে চিনির। নতুন করে আবার চিনির দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছে কোম্পানিগুলো। সাধারণ ক্রেতাদের থেকে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের মুনাফা দফায় দফায় তুলে নিচ্ছে। ক্রেতা শ্রেণীরা পড়ছেন চরম ভোগান্তিতে।
সূত্র মতে, বর্তমানে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের কাছে এখন ৬০ হাজার টন চিনি মজুদ আছে। এছাড়া অন্যান্য কোম্পানিগুলোর কাছে প্রায় দেড় লাখ টন চিনি মজুদ রয়েছে। কোম্পানির এই চিনি দুই-তিন মাস আগে আমদানি করা করে। বিশ্ববাজারে তখন চিনি ও তেলের দাম ছিল কম। সম্প্রতি বিশ্ববাজারে চিনির দাম বেড়েছে। এ যুক্তিতে দেশেও আরেক দফা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এ প্রস্তাব কার্যকর হলে কোটি কোটি টাকা সাধারণ মানুষের থেকে হাতিয়ে নেবে কোম্পানিগুলো।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবিত হারে চিনির দর বাড়ানো হলো মজুদ থেকে অতিরিক্ত মুনাফা গুনবে বিপণনকারী ৯ প্রতিষ্ঠান। এই মুনাফার বড় অংশীদার হবে সিটি ও মেঘনা গ্রুপ। এছাড়া ইগলু সুগার, দেশবন্ধু গ্রুপসহ আরো কিছু কোম্পানি তাদের সাথে রয়েছে। জানা গেছে, চিনির সর্ববৃহৎ মজুদকারী সিটি গ্রুপের কাছে মজুদ রয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টন। আর মেঘনা গ্রুপের কাছে মজুদ রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টন। বাকি কোম্পানিগুলোর হাতে রয়েছে প্রায় ৭০ হাজার টন ।
এদিকে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) তাদের মিলে উৎপাদিত চিনির দামও কেজিতে ১২ টাকা বাড়িয়েছে। এখন থেকে তারা মিল থেকে ৪৮ টাকার বদলে ৬০ টাকা কেজি দরে চিনি বিক্রি করবে। অন্যদিকে তাদের প্যাকেটজাত চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ঠিক করা হয়েছে কেজিপ্রতি ৭০ টাকা, যা আগের চেয়ে ১৫ টাকা বেশি।
চলতি বছর চিনির দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছিল গত রমজান মাসকে কেন্দ্র করে। রোজা ও রোজার আগে দুই মাসে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা কেজির চিনি ৭৫ টাকায় উঠেছিল। রোজার পর দাম কমে কেজিপ্রতি ৬৬ টাকায় নামলেও এখন আবার তা বাড়ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, সরকার চিনির দামের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে আমদানির শুল্ক কমানোর চিন্তা করছে।
গত বছরের মাঝামাঝিতে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দামে ব্যাপক পতন ঘটে। তখন দেশে প্রতি কেজি চিনির দাম নেমেছিল ৩৫ টাকায়। এতে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন ব্যাপক লোকসানে পড়ে। তাদের সুরক্ষা দিতেই সরকার চিনি আমদানিতে কর বাড়িয়ে দেয়। ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে চিনির ওপর বাড়তি কর আরোপের আগে চিনি শিল্প করপোরেশনের চিনির দাম ছিল কেজিপ্রতি ৩৭ টাকা। এরপর তারা দর বাড়িয়ে প্রথম দফায় কেজিপ্রতি ৪৪ টাকা, দ্বিতীয় দফায় ৪৮ টাকা নির্ধারণ করে। সর্বশেষ ৬০ টাকা নির্ধারণ করে।
চিনির দাম নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনে (বিটিসি) ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে মূল্যবৃদ্ধির এ প্রস্তাব দেয় কোম্পানিগুলো। এই দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের সময়ও সিটি ও মেঘনা গ্রুপের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিল। তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে দু’টি পণ্যের দামই বেড়েছে। দেশে না বাড়লে আমদানি কমে যাবে। ফলে সরবরাহে ঘাটতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সিটি গ্রুপের বিশ্বজিৎ সাহা বলেছিলেন, এ দর সমিতির মাধ্যমে প্রস্তাব করা হয়েছে। এর চেয়ে বেশি দামে কোনো কোম্পানি বিক্রি করতে পারবে না। তবে গতকাল সিটি গ্রুপের কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া পায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।