Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নবমী পালিত আজ বিসর্জন

প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : শারদীয় দুর্গোৎসবের গতকাল ছিল ৪র্থ দিন। এ দিন মহানবমীর পূজা পালন করা হয়ে থাকে। আজ মঙ্গলবার বিজয়া দশমীর মধ্যদিয়ে এ দুর্গাপূজা উৎসবে শেষ হবে। চন্দ্রের নবমী তিথীতে অনুষ্ঠিত হয় মহানবমী কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা। শাস্ত্র অনুযায়ী, শাপলা, শালুক ও বলিদানের মাধ্যমে দেবীর মহানবমী পূজা হয়ে থাকে। নানা আচারের মধ্যদিয়ে মহানবমীর পূজা শেষে যথারীতি থাকবে অঞ্জলি নিবেদন ও প্রসাদ বিতরণ। মূলত চতুর্থ দিন মহানবমীই পূজার শেষ দিন। তবে বিজয়া দশমীর দিনেও বেশকিছু আনুষ্ঠানিকতা থাকে।
নবমী সন্ধিক্ষণে অনুষ্ঠিত হয় সন্ধিপূজা। মহিষাসুর নিধনের সময় দেবী দুর্গা প্রচ- ক্রোধে কৃষ্ণবর্ণ রূপ ধারণ করেছিলেন। তাই পূজার এই আচারের সময় দেবীকে চামু-া রূপে পূজা করা হয়েছে, অর্থাৎ যিনি চ- ও মু-ের বিনাশিনী। পূজার এই মুহূর্তটি আরও একটি কারণে স্মরণীয়। দেবী দুর্গার আশির্বাদ নিয়ে শ্রীরামচন্দ্র এই মুহূর্তেই রাবণকে বধ করেছিলেন। শাস্ত্রমতে, এবার মা পিতৃগৃহে এসেছিলেন ঘোড়ায় চড়ে। ফিরবেনও ঘোড়ায় চড়ে। যার ইঙ্গিত দেয় বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা, দৈব-দুর্বিপাক।
তারপরও মা বলে কথা। মা কখনও চাইবেন না তার সন্তানেরা দুঃখ-কষ্টে দিনাতিপাত করুক। তাই তিনি-ই রক্ষা করবেন মর্তের সন্তানদের-এমন প্রত্যাশাই করছেন ভক্তরা।
সকাল ৯টা ৫৭ মিনিট ১০ সেকেন্ডের মধ্যে দেশের প্রতিটি ম-পে দেবী দুর্গার মহানবমী কল্পরম্ভ ও মহানবমী বিহিত পূজা সমাপন হয়। দেবীকে ১০৮টি নীলপদ্ম, অপরাজিতা ফুল ও যজ্ঞের মাধ্যমে পূজা দেওয়া হয়।
১০৮টি বেলপাতা, আম কাঠ ও ঘি দিয়ে এই যজ্ঞ করা হয়। পূজা শেষে ভক্তরা দেবীর চরণে অঞ্জলি দেন। অঞ্জলি দেওয়া শেষে প্রসাদ গ্রহণ করেন ভক্তরা।
নবমী পূজার মাধ্যমে মর্তের সন্তানরা সুখে থাকার জন্য সম্পদ লাভ করেন বলে শাস্ত্রে উল্লেখ আছে। পাশাপাশি ভক্তরা মায়ের কাছে আশীর্বাদ চাইবেন দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায়।
রাজধানীর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে মহানবমী মায়ের পূজা দেওয়া হয় গতকাল সোমবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে। প্রতিদিনের মতো সন্ধ্যায় দেশের প্রতিটি ম-পে আরতি প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আর সারাদিন চলবে চ-িপাঠ।
আজ পূজার শেষ দিন, বিজয়া দশমী। ওইদিন মর্ত্য ছেড়ে কৈলাশে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা। বিজয়া দশমীতে দুর্গাদেবীর দশমী বিহিত পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন অনুষ্ঠিত হবে। এদিনই প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।
এদিকে দুর্গোৎসব নির্বিঘœ রাখতে দেশের ম-পগুলোতে আর্চওয়ে ও গোপন ক্যামেরা (সিসিটিভ) বসানো হয়েছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার পাল বলেন, এবার রাজধানীর ২২৬টি ম-পকে আলাদাভাবে শ্রেণিভুক্ত করে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকেশ্বরী, রামকৃষ্ণ, ধানমন্ডি ও বনানী ম-পকে এ ক্যাটগরি এবং রমনা কালীমন্দির, সিদ্ধেশ্বরী ও উত্তরার ম-পকে বি ক্যাটাগরিতে রাখা হয়।
এছাড়া ৮৮টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ, ৮৩টি তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ এবং ৪৮টি মন্ডপকে সাধারণ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে।
নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে এবারের পূজা চলাকালীন সময় ব্যাগ, ছুরি-কাচি ও দাহ্য পদার্থ নিয়ে ম-পে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। এমনকি আতশবাজি-ফটকাবাজিও নিষিদ্ধ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নবমী পালিত আজ বিসর্জন

১১ অক্টোবর, ২০১৬
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ