পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যশোর ব্যুরো : যশোরে প্রতিপক্ষের গুলিতে এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। নিহত এজাজ আহমেদ (৪৫) যশোর সদর উপজেলার ঝাউদিয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। সোমবার সকালে ছাতিয়ানতলা মল্লিকপুর এলাকায় দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। দু’বছর আগে বাওড় নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন বলে এজাজের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম দাবি করেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার সকালে এজাজ ক্ষেতের মুলা বিক্রি করতে চুড়ামনকাটি বাজারে যান। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এজাজ সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি বাজার থেকে মোটরসাইকেলে ঝাউদিয়ায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ছাতিয়ানতলা মল্লিকপাড়া এলাকায় প্রতিপক্ষরা তাকে থামায়। এরপর তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুর রশিদ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ডা: আব্দুর রশিদ জানান, মাথার পেছনের দিকে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য নিহত এজাজের লাশ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত এজাজের চাচাতো ভাই রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, গেড়াদিয়া-শালকের বাওড় ইজারা নিয়ে তারা ঘের করে মাছ চাষ করে আসছিলেন। এ নিয়ে ওই এলাকায় মোস্ত মেম্বার ও তার লোকজনের সাথে বিরোধ ছিল। মোস্ত তার লোকজন নিয়ে ওই ঘের দখলের চেষ্টা করে আসছিল। এই বিরোধের জের ধরেই এজাজকে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর এজাজের বড় ভাই আওয়ামী লীগ কর্মী শহিদুল ইসলামকে (৫০) একই প্রতিপক্ষ কুপিয়ে হত্যা করে।
বড় ভাই শহিদুল হত্যাকা-ের পর এই এজাজ আহমেদ সে সময় সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, গেড়াদিয়া-শালকের বাওড় নিয়ে তাদের সাথে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশের সাথে তাদের দ্বন্দ্ব ছিল। এজাজ হত্যাকা-ের পর চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্না অভিযোগ করেন, এজাজের বড় ভাই শহিদুল হত্যা মামলায় পুলিশ মাসখানেক আগে চার্জশিট দিয়েছে। ওই চার্জশিটভুক্ত খুনিরাই এজাজকে গুলি করে।
যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ইলিয়াস হোসেন বলেন, এজাজ নামে একজনকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। খুনিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। তবে এখনো হত্যাকা-ে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।