ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
শৈশব একজন মানুষের হাতেখড়ির সময়। এ সময় শিশুদের মন, মস্তিষ্ক খুব সহজেই প্রভাবিত হয়। নতুনত্বের প্রতি তাকে প্রচ- আগ্রহ। শিশুদের সীমাবদ্ধ পরিসীমার মধ্যে রাখতে অনেক অভিভাবকই পছন্দ করেন। অন্য শিশুদের সঙ্গে মিশতে দেওয়া, বাইরের জগতের সংস্পর্শে নিয়ে আসা এ বিষয়গুলো অনেকেই এড়িয়ে চলেন। ফলে শিশুদের মানসিক বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়। শিশুরা জানার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তাদের জ্ঞানের সংস্পর্শে আনতে হবে।
খেলায় খেলায় তাদের শেখাতে হবে, পৃথিবীর সঙ্গে পরিচিত করতে হবে। সব ধর্মের পর বর্ণের মানুষকে যেন শিশুরা শৈশব থেকেই সহজভাবে গ্রহণ করতে পারে, বৈষম্য বলে কোনো কিছু তারা যেন চিন্তা-চেতনায় স্থান দিতে না পারে সে বিষয়ে তাদের উপযুক্ত শিক্ষা দিতে হবে। তথ্যসমৃদ্ধ বই পড়ায় তাদের উৎসাহিত করতে হবে। কেননা আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ। আগামীর বাংলাদেশকে তারাই নেতৃত্ব দেবে।
মাসুমা রুমা
শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
শহরমুখী জনস্রোত
শহরমুখী জনস্রোত তথা গ্রাম থেকে শহরে ছুটে আসা মানুষের সংখ্যা বাড়ছেই। বিবিএসের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী গত পাঁচ বছরে এ হার বেড়েছে ৬ শতাংশ। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে মাত্রাতিরিক্ত জনসংখ্যা, যানজট ও পরিবেশ দূষণ ক্রমবর্ধমান শহর-জীবনের নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু পল্লী অঞ্চল থেকে নয়, এক শহর থেকে আরেক শহরেও মানুষের স্থানান্তরের হার বেড়েছে। এক্ষেত্রে জীবিকা এবং উন্নত জীবনের আকাক্সক্ষা যেমন কাজ করছে তেমনি রয়েছে বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তার অভাব।
তবে এটাও সত্য যে, আধুনিক সভ্যতার ধরনই হলো মানুষকে শহরমুখী করা। উন্নত দেশগুলোতে ইতোমধ্যে গ্রাম বা ছোট শহরগুলো প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে। তবে এসব দেশে জনসংখ্যা কম বিধায় নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশে একই ঘটনা ঘটবে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু ঘন জনসংখ্যার ছোট এই দেশে যদি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগগুলো বিকেন্দ্রীকরণ করা যেত তা হলে হয়তো চিত্রটা ভিন্ন হতে পারত। বিষয়টির প্রতি সরকারের নীতিনির্ধারক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. রেদোয়ান হোসেন
বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, টাঙ্গাইল।
পায়রা কর্তৃপক্ষ লক্ষ করুন
মাত্র কয়েক দিনে আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চীনা জাহাজ ‘ফরচুন বার্ড’ থেকে পাথর খালাসের কাজ উদ্বোধনের মাধ্যমে পায়রা সমুদ্র বন্দরের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। এরপর থেকেই বিদেশি মানুষের আনাগোনা উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বেড়ে গেছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে, পোর্ট সংলগ্ন বানাতি বাজার থেকে সমুদ্রের পাড়ে বা ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রে যেতে একমাত্র রাস্তাটি কাঁচা। এই একমাত্র রাস্তাটি পোর্ট সংলগ্ন পশুরবুনিয়া গ্রামের ভেতর দিয়ে গেছে যা মাষ্টারবাড়ি সড়ক নামে পরিচিত। মাত্র দুই কিলোমিটার রাস্তার জন্য একপশলা বৃষ্টি হলে দেশি-বিদেশি কোনো কার্যক্রম নিয়ে মানুষ সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না। সামান্য ইটা বিছানো হলেও চলাচল করা সম্ভব হতো। আশা করি সড়কটির উন্নয়নে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসক উদ্যোহী হবে।
মো. রেফাতুল ইসলাম, পায়রা সমুদ্র বন্দর, কলাপাড়া, পটুয়াখালী।
মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রাপ্তি প্রসঙ্গে
চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে যেসব মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রাপ্তির যোগ্যতা অর্জন করেছেন তাদের একটি তালিকা হস্তগত হয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসে। তালিকাটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কর্তৃক স্বাক্ষরিত। মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি আজ ৪৫ বছর। অতীব দুঃখের বিষয় এই যে, আজো মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ হলো না, মুক্তিযোদ্ধারা পেলেন না বিশেষ ডিজিটাল সার্টিফিকেট, পেলেন না আইডি কার্ড।
সরকারের ঘোষণানুযায়ী সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে না ফেরার দেশের যাত্রী হচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধারা যা কিনা জাতির জন্য অত্যন্ত পরিতাপের। শাহরাস্তি উপজেলার ৪৬ জনের এই তালিকার কথাই ভাবুন, আজ প্রায় ৮ মাস গত হতে চলল ভাতা পাওয়ার বিষয়টি আটকে আছে কী কারণ কেউ বলতে পারে না। মুক্তিযোদ্ধারা কি এইরকম অবহেলার শিকার হতেই থাকবেন যতদিন বাঁচবেন।
এসএমএস আলম
মুুক্তিযোদ্ধা, লালমাটিয়া, ঢাকা-১২০৭
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।