পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যারা ধর্মের নামে রাজনীতি করে এবং যাবতীয় অপরাধকে বৈধতা দেয় তারাই মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন শাহরিয়ার কবির। মহাত্মা গান্ধীর ১৫২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শনিবার একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে তিনি এ কথা বলেন।
‘মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধুর মানবতা ও বিশ্বশান্তির দর্শন’ শীর্ষক এ ওয়েবিনারে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু দুজনই ধর্ম-বর্ণ-জাতি-ভাষা-অঞ্চল নির্বিশেষে সব মানুষের কল্যাণের জন্য বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখনও ধর্মের নামে কিংবা কোনও মতবাদের নামে ভিন্নমত, ভিন্ন ধর্ম ও ভিন্ন জীবনধারায় বিশ্বাসী মানুষদের নির্যাতন করা হচ্ছে, হত্যা করা হচ্ছে, যার সাম্প্রতিক উদাহরণ আফগানিস্তান। সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকে আমরা লক্ষ্য করছি পৃথিবীতে যত বিরোধ, সংঘাত ও যুদ্ধ হয়েছে তার প্রধান কারণ ধর্ম, জাতিগত বা গোত্রগত আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা। সভ্যতার ধারাবাহিকতায় বহু মহাপুরুষ মানবজাতিকে হিংসা, সংঘাত ও বৈষম্য থেকে মুক্ত করার জন্য বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছেন। মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধুর সভ্যতার সেই ধারাবাহিকতার অন্তর্গত।
সভায় ভারতের সাংবাদিক মানস ঘোষ বলেন, উপমহাদেশের এই দুই উজ্জ্বল এবং অসামান্য ব্যক্তিত্বের চরিত্র এবং কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মিল আছে এবং খুব কম বৈষম্য আছে। তাদের আদর্শ ও নীতিগুলো এতটাই আপোষহীন ছিল যে উভয়ই সহজ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিলেন এবং অবশেষে শিকার হয়েছিলেন প্রতিক্রিয়াশীলদের ষড়যন্ত্রের কাছে। এতে আরও বক্তব্য রাখেন মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, মানবাধিকার নেত্রী ও সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, মানবাধিকার নেতা তরুণ কান্তি চৌধুরী, নোয়াখালী গান্ধী আশ্রমের সম্পাদক সমাজকর্মী মনু গুপ্ত প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।