পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোনের বাজার সম্প্রসারণ করতে এবং অবৈধ বা নন-চ্যানেল মোবাইল ফোনের প্রবেশ বন্ধ করতে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেম চালু করেছে সরকার। এতে দেশে আসা অবৈধ মোবাইল ফোন বা নন-চ্যানেল ফোন বাংলাদেশের নেটওয়ার্কে যুক্ত হলেই তা চিহ্নিত হয়ে যাবে। গত ১ জুলাই তিন মাসের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে এই পদ্ধতি চালু করে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি)। গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে সেই সময়সীমা। ফলে আজ থেকে সব ধরণের অনিবন্ধিত বা অবৈধ মোবাইল ফোন সে চালু করতে গেলেই গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়ে তা স্বয়ংক্রিভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
বিটিআরসি জানায়, শুক্রবার থেকে অবৈধ যেসব মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে সচল হবে তাদেরকে একটি এসএমএস দেয়া হবে এবং এরপরপরই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই সেটটি বন্ধ হয়ে যাবে। এসএমএসে জানানো হবে, সেটটি অবৈধ, কিছুক্ষণের মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। অবৈধ পথে দেশে আনা বা অনিবন্ধিত ফোন সেটগুলো কাল থেকে এভাবেই অচল হয়ে পড়বে বলে নিশ্চিত করেছেন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র।
তিনি বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বর ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেমের ৩ মাসের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শেষ। ১ অক্টোবর থেকে অনিবন্ধিত বা অবৈধ ফোনগুলো বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
গত ১ জুলাই এনইআইআর সিস্টেমটি চালু হয়। সিস্টেমটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করে বিটিআরসি। সে সময় বলা হয়, ৩০ জুন পর্যন্ত মোবাইল ফোন অপারেটরের নেটওয়ার্কে চালু থাকা সব মোবাইল ফোন সেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনইআইআর সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়ে যাবে। ১ জুলাই থেকে নতুন সেটগুলো নিবন্ধন করে চালু করতে হবে। ১ জুলাইয়ের পরে দেশে চালু হওয়া অবৈধ সেট নিবন্ধনের জন্য ৩ মাস চালু থাকবে। ৩ মাস পরে সেটগুলো নিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানানো হবে।
বিটিআরসি জানায়, এনইআরসি পদ্ধতি চালু হলে একদিকে যেমন দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোনের বাজার সম্প্রসারতি হবে। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশা, এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে দেশে মোবাইল ফোন কেন্দ্রিক অপরাধের সংখ্যা কমবে। এ সিস্টেম চালু হলে চুরি বা ছিনতাই হওয়া ফোনে অন্য সিম দিয়ে নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা যাবে না।
বিটিআরসির কমিশনার (তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা) এ কে এম শহীদুজ্জামান বলেন, ১ অক্টোবর থেকে কোনও গ্রাহক ফোন চালু করতে গেলে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবেন। ফোনটি বৈধ হলে কয়েকটি ধাপ অগ্রসর হলেই সেটি চালু হয়ে যাবে। যদি ফোনটি অবৈধ হয় তাহলে নেটওয়ার্কে চালু করার সময় মেসেজ আসবে। মেসেজের মাধ্যমে ক্রেতাকে জানানো হবে যে ‘তার ফোন সেটটি বৈধ নয়। কিছুক্ষণের মধ্যে ফোনটি বন্ধ হয়ে যাবে।’ এই মেসেজ ফোন বিক্রেতাকে দেখিয়ে ক্রেতা তার ফোন সেটটি বদলে নিতে পারবেন বা টাকা ফেরত নিতে পারবেন। কোনও বিক্রেতা ফোন বদলে না দিলে বা টাকা ফেরত না দিলে ক্রেতার স্বার্থে প্রয়োজনে আমরা আইনগত ব্যবস্থাও নেবো। বিক্রেতাও বুঝবেন এভাবে এসব ফোন আর বিক্রি করা যাবে না। আমরা চাই ক্রেতা, বিক্রেতা, উৎপাদক সবার স্বার্থটি দেখতে।
বিটিআরসির তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহিদুল আলম বলেন, ১ অক্টোবর থেকে বৈধ মোবাইল ফোন পদ্ধতি মেনে নিবন্ধনের মাধ্যমে চালু করা যাবে। এ সময়ের পরে যেসব নন-চ্যানেল বা অন-অফিসিয়াল (অবৈধ) ফোন নেটওয়ার্কে যুক্ত হলে তা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আমরা গ্রাহকদের বলছি ফোন কেনার সময় সিম লাগিয়ে চালু করে (নিবন্ধন করে) নিতে। সেটা সম্ভব না হলে কেওয়াইডি দিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে যে ফোনটি বৈধ না অবৈধ।
তিনি জানান, এনইআইআর চালুর প্রথম তিন মাস (১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর) ছিল পরীক্ষামূলক সময়। এই সময়ে যেসব অবৈধ মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে সংযুক্ত (চালু) হয়েছে সেসব আপাতত চালুই থাকবে। এ বিষয়ে নতুন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত হলে গ্রাহকদের জানিয়ে দেবে বিটিআরসি।
বৈধ না অবৈধ যাচাইয়ের পদ্ধতি: মোবাইল ফোন সেট বৈধ নাকি অবৈধ তা জানার জন্য ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে কেওয়াইডি লিখে স্পেস দিয়ে মোবাইলের ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে সেটি ১৬০০২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে আইএমইআই নম্বরটি বিটিআরসির ডাটাবেজে সংরক্ষিত আছে কিনা তা জানা যাবে। ফিরতি মেসেজে ডাটাবেজে সংরক্ষণের তথ্য থাকলে সেটি হবে বৈধ ফোন।
এদিকে নিয়ম মেনে বিদেশ থেকে যারা ফোন আনবেন সেসব ফোন নিবন্ধন করে চালু করা যাবে। ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য বিদেশ থেকে ৮টি মোবাইল ফোন আনা যায়। প্রত্যেক যাত্রী প্রতিটি বোর্ডিং পাস বা সংশ্লিষ্ট ভ্রমণ সংক্রান্ত কাগজ অনুযায়ী বিটিআরসি’র অনাপত্তিপত্র ছাড়া ৮টি মোবাইল ফোন নিয়ে আসতে পারবেন। তবে এসব মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটের মধ্যে সর্বোচ্চ দুটি আনা যাবে বিনা শুল্কে। বাকিগুলোর ক্ষেত্রে কাস্টমস সংশ্লিষ্ট আইন প্রযোজ্য হবে। বিদেশ থেকে সেট আনলে পাসপোর্ট, ভিসার কপি, পণ্য ক্রয়ের রশিদ ইত্যাদি দেখিয়ে ওয়েবসাইটে (www.neir.btrc.gov.bd) গিয়ে ফোনটি নিবন্ধন করা যাবে। উপহার পেলে তার পক্ষেও প্রমাণপত্র থাকতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।