পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে ১৪ কার্যদিবস পর ডিএসইতে আবার আড়াই হাজার কোটি টাকার লেনদেনের দেখা মিলেছে।
সবকটি মূল্যসূচকের সঙ্গে লেনদেনের বড় উন্নতি হলেও ডিএসইতে যে ক’টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে কমেছে তার থেকে বেশি। তবে বড় মূলধনের প্রতিষ্ঠান এবং বেশিরভাগ অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা লিজিং কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ায় ঊর্ধ্বমুখী সূচক।
গতকাল ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে প্রথম মিনিটেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৯ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লেনদেনের পুরো সময়জুড়ে অব্যাহত থাকে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৬ পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ৩২৯ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইর শরিয়াহ্ ৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫৯২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৭১০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সবকটি মূল্যসূচক বাড়লেও দিনভার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৬৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ১৭১টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির।
সবখাত মিলে বেশি সংখ্যক দেন শেষে এ খাতের ১৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও কিছুটা ব্যতিক্রম থাকে আর্থিকপ্রতিষ্ঠান। দিনের লেন তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩টির। সূচকের উত্থানের সঙ্গে ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫০২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২ হাজার ২৬৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ১৩২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে ১৪ কার্যদিবস বা ১২ সেপ্টেম্বরের পর ডিএসইতে আড়াই হাজার কোটি টাকার লেনদেনের দেখা মিলেছে।
টাকার অংকে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের শেয়ার। কোম্পানিটির ২০৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার ১০৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৯৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে-পাওয়ার গ্রীড, বেক্সিমকো ফার্মা, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, সাইফ পাওয়ার টেক, বিবিএস কেবলস, বসুন্ধরা পেপার এবং শাহজিবাজার পাওয়ার।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৫৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১২২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩১৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৯টির এবং ২৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।