Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নতুন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা নিয়ে সতর্ক করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০৬ এএম

কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার কারণে এখন আলোচিত ইস্যুতে পরিণত হয়েছে এই খাত। যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তাদের বেশিরভাগই প্রচারণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, মন্ত্রী ও সেলিব্রেটিদের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছে। তাই নতুন কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রচারে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, মন্ত্রী এবং শুভেচ্ছা দূতদের সতর্ক থাকতে বলেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, যে কোনো বিজনেস বা স্টার্টআপকে প্রমোট করার আগে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা মন্ত্রী বা কোনো একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর, তাদের সাবধান হওয়ার দরকার আছে।

গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংগঠনটির মোবাইল অ্যাপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক করেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আলিবাবা’, ‘ই-বে’ এবং ‘অ্যামাজনের’ মতো প্রতিষ্ঠানও শুরুর দিকে ছাড় দিয়ে পণ্য বিক্রি করলেও পরে সেটা সমন্বয় করেছিল বলে অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী পলক। তিনি বলেন, অবিশ্বাস্য রকম মুনাফা দেওয়ার যে আশ্বাস, যেখানে বড় ধরনের অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যাদের উদ্দেশ্য ভাল ছিল, তারা টাইমিংটা ঠিকমত করতে পারেনি। আর যাদের উদ্দেশ্য গোড়াতে গলদ ছিল- আমরা টাকা পাব, এটা নিয়ে পালায়ে যাব, এটাও কিন্তু আছে।
তবে এ খাতে কিছু ‘নীতিমালা’ এবং ‘আইনের’ প্রয়োজন জানিয়ে পলক বলেন, সরকারের যেটা দায়িত্ব, সেটা হচ্ছে যে রেগুলেটাররা আছেন, তাদের আসলে কিছু নীতি, কিছু কৌশল ও কিছু আইন প্রয়োগ করার দরকার আছে। আমরা আইসিটি বিভাগ থেকে চেষ্টা করি, প্রথমে কোনো স্টার্টআপ এলে কৌশলপত্র নির্ধারণ করার।
তিনি বলেন, আমরা কাউকে আসতে বাধা দিই নাই। কৌশলপত্র তৈরি করেছি, নীতিমালা করেছি, সেটা বিআরটিএর মাধ্যমে মন্ত্রিসভায় গিয়ে একটা জায়গায় গিয়েছে, এখন সংশোধন হচ্ছে, পরিমার্জন হচ্ছে। আমরা ২০১৮ সালে একটা পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল নীতিমালা করে মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করি। যখন মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত দেয় যে, এটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের, যেহেতু রুলস অব বিজনেস। সুতরাং আমাদের কাছে কিন্তু রাখেনি। তখন এটা কিন্তু মন্ত্রিসভা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দিয়ে দেয়। এটাকে হালনাগাদ করা, রেগুলেটর স্থাপন করা, আমরা কিন্তু ডিজিটাল কমার্স নীতিমালায় দিয়ে দিয়েছি। ২০২০ সালে এসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এটা সংশোধন করেছে।
অনুষ্ঠানে ডিআরইউ সদস্যদের জন্যে মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী পলকসহ উপস্থিত অতিথিরা। এই অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে সংগঠনের সদস্যদের বার্ষিক ও কল্যাণ তহবিলের চাঁদা পরিশোধ করা যাবে। অ্যাপে পাওয়া যাবে সংগঠনের সকল সদস্যদের মোবাইল নম্বর। পাওয়া যাবে আরও বেশ কিছু সেবা।
ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান। উপস্থিত ছিলেন- সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দীন, ইলিয়াস হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, কবির আহমেদ খান, বর্তমান সহ-সভাপতি ওসমান গনি বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক আরাফাত দাড়িয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ