পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা ঃ জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ৩নং দামোদরপুর ইউনিয়নে ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির’ আওতায় হতদরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা কেজিতে চাল কেনার কার্ড পেয়েছেন স্থানীয় সরকারী চাকুরীজীবী, শিক্ষক, পল্লী চিকিৎসক ও ব্যবসায়ীরা। এছাড়া সাবেক ইউপি সদস্য, শিক্ষকের স্ত্রী, ২০ থেকে ৫০ বিঘা জমির মালিক ও পাকা বাড়ি আছে, একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তিসহ অধিকাংশ সচ্ছল এবং বিত্তশালীদের কার্ড দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এ ইউনিয়নের স্বল্পমূল্যের চাল কেনার তালিকা (চেয়ারম্যান ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত) নাম রয়েছে ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান শাহ, সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান, ৭নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, সরকারী কর্মচারী রেজাউল করিম ভুট্টু (তিনি দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা মৎস্য অফিসে কর্মরত) তার বড় ভাই নজরুল ইসলাম (তিনি অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা) ও মোস্তাফিজুর রহমান পেস্তা (পল্লী চিকিৎসক, পাকা বাড়ি ও অনেক সম্পদের মালিক) তার বড় ভাই কোচিং শিক্ষক শাহ আলম লিচুর।
এছাড়া কার্ড পেয়েছেন পূর্ব দামোদরপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী, শিক্ষক আবদুল লতিফের স্ত্রী মেরিনা বেগম, সাবেক ইউপি সদস্য নুরুন্নবী সরকার, মাজেদুল সরদার, (বড় কাপড় ব্যবসায়ী), রবিউল ইসলাম (বড় গালামালের দোকান আছে), আইয়ুব আলী (ব্যবসা) করেন। শুধু তাই নয়, ২০ থেকে ৫০ বিঘা জমি এবং পাকা বাড়ির মালিক আজিজ মন্ডল, আবদুল কাফি প্রামাণিক, সুবোধ চন্দ্র, আবদুর রশিদ, মধু মন্ডল, মুনছুর আলী ও লুৎফর রহমান। বিভিন্ন দলীয় নেতার আত্মীয়-স্বজন, একই পরিবারের পাঁচ ভাই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিসহ অধিকাংশ সচ্ছল ও বিত্তশালীরা পেয়েছেন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড।
মাঠপর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্থানীয় কয়েকজন নেতার নেতৃত্বে তালিকা প্রণয়ন করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান এজেডএম সাজেদুল ইসলাম স্বাধীন। ইউনিয়নে ২ জন ডিলারের মাধ্যমে ১২২০ সুবিধাভোগী পরিবারের মধ্যে প্রথম কিস্তির চাল বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। এসব কার্ড করে দিতে অনেকের কাছে ২০০ থেকে ১ হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগও রয়েছে স্থানীয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। ফলে সরকারের এ কর্মসূচি ব্যাহত ও চাল কেনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে প্রকৃত হতদরিদ্রদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাই এসব তালিকা বাতিল করে পুনরায় তালিকা প্রণয়নের দাবী জানান হতদরিদ্ররা।
এ বিষয়ে দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজেডএম সাজেদুল ইসলাম স্বাধীন জানান, ইউনিয়নে ১২২০ জনের তালিকায় সামান্য অনিয়ম হলে সেটা ইচ্ছেকৃত নয়। ওই তালিকায় তিনি ৪৫০ জনের নাম দিয়েছেন। এছাড়া পরিষদের মেম্বার, নারী সদস্য, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানরা বাকী নাম দিয়েছেন।
সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আহ্সান হাবীব এ ধরনের অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগের বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া কার্ড বাতিল ও দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।