পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তিন বছর আগে সরকারের অনুমোদন পেলেও পরামর্শক নিয়োগ করতে না পারায় থমকে ছিল সিরাজগঞ্জের শহীদ মনসুর আলী স্টেশন থেকে বগুড়া পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ। অবশেষে ভারতীয় দুই প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শক নিয়োগের জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ভারতীয় এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে এই তহবিল বিতরণ করা হবে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং ভারতীয় পরামর্শদাতা সংস্থার রাইটস লিমিটেড ও আরভি অ্যাসোসিয়েটসের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে রেল ভবনে অনুষ্ঠিত চুক্তিসই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী বিক্রম দোরাইস্বামী। ভারতীয় হাইকমিশনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় পরামর্শ পরিষেবার মধ্যে রয়েছে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা, বিস্তারিত ইঞ্জিনিয়ারিং নকশা এবং সেতু, বাঁধ, রেলপথ, স্টেশন, সিগন্যালিং এবং অন্যান্য স্থাপনার নকশা অঙ্কন, যাত্রাপথ নির্ধারণ, গাণিতিক মডেলিং, টেন্ডারিং এবং নির্মাণ তত্ত্বাবধান। প্রকল্পের বাস্তবায়ন চ‚ড়ান্ত হলে বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত ডুয়েলগেজ প্রধান লাইন এবং লুপ লাইন নির্মাণের পাশাপাশি স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম, সেতু, একটি প্রশাসনিক স্থাপনা, বাতি স্থাপন, ওভারহেড সাইন স্ট্রাকচার এবং ট্র্যাক বিছানোর কাজ সম্পন্ন হবে। যদিও বর্তমান অনুমোদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ১ জুলাইয়ে শুরু হয়ে ২০২৩ সালের জুনে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা ছিল। সেখানে কাজই শুরু হবে ২০২৩ সালে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫ হাজার ৫৮০ কোটি টাকায় সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে ঢাকা-রংপুর বিভাগের জেলাতে ট্রেন যায় পাবনার ঈশ্বরদী ঘুরে বগুড়ার সান্তাহার হয়ে। এ কারণে শত কিলোমিটার বাড়তি পথ পাড়ি দিতে হয় উত্তরের যাত্রীদের। রেলের হিসাব অনুযায়ী, ঢাকা-বগুড়ার বর্তমান দূরত্ব ৩২৪ কিলোমিটার। নতুন রেলপথ নির্মাণ হলে এই দূরত্ব কমে হবে ২১২ কিলোমিটার। ১১২ কিলোমিটার দূরত্ব কমায় আশা করা হচ্ছে অন্তত তিন ঘণ্টা সাশ্রয় হবে। ঢাকা থেকে সরাসরি বগুড়ার রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ দীর্ঘদিনের। ২০০৫ সালে এই রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্পটি পড়ে থাকছে অনেক বছর। এশিয়া উন্নয়নের ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে তখন প্রাক-সমীক্ষাও হয়েছিল। কিন্তু অর্থায়নের অভাবে প্রকল্পটি এগোয়নি। এক যুগ পর ২০১৭ সালে ভারতের তৃতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) ঋণে প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই প্রকল্পে ৩ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা ঋণ দেবে ভারত। বাকি ২ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকার জোগান দেবে বাংলাদেশ সরকার।
চুক্তিসই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেলওয়ে সচিব মো. সেলিম রেজা। এসময় রেল মন্ত্রণালয়, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশন, এক্সিম ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, রাইটস লিমিটেড এবং আরভি অ্যাসোসিয়েটস আর্কিটেক্টস ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড কনসাল্টেশন্স প্রাইভেট লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।