পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবে : আশা চিকিৎসকদের
স্টাফ রিপোর্টার : ছাত্রলীগ নেতার চাপাতির কোপে আহত খাদিজা আক্তার নার্গিসের শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা আশা করছেন, নার্গিস সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবে। হাসপাতালের মেডিসিন অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের পরামর্শক মির্জা নাজিম উদ্দিন গতকাল রোববার বলেন, খাদিজার অবস্থা গতকালের চেয়ে ভালো। তার উন্নতি হচ্ছে।
খাদিজার চাচা ফয়জুল ইসলাম গতকাল রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, আগের চেয়েও খাদিজার শারীরিক অবস্থা আরেকটু ভালো। তিনি জানান, খুব ধীরে হলেও উন্নতির পথেই রয়েছে সে। তিনি আরো বলেন, গতকাল সকালেও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হয়েছে তাদের। চিকিৎসকরা তাদের জানিয়েছেন, খাদিজার উন্নতি হচ্ছে। যদিও সেটি খুব ধীরে। আর আমরাও এখন আশাবাদী যে, খাদিজা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবে। ফয়জুল ইসলাম বলেন, গতকাল সকাল ৯টার সময়ও ডাক্তাররা খাদিজাকে দেখেছেন। এসময় চিকিৎসকরা পর্যবেক্ষণের পর জানান, খাদিজার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, এখনো কোনো অবনতি তাদের চোখে পড়েনি।
উল্লেখ্য, প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ৩ অক্টোবর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম সিলেট এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনার পর প্রথমে খাদিজাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরদিন ভোরে তাকে ঢাকায় আনা হয়। এদিন দুপুরে স্কয়ার হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা তাকে ৯৬ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখেন। নির্ধারিত সময়ের পর গত শনিবার খাদিজার অপারেশনকারী চিকিৎসক নিউরো সার্জন ডা. এ এম রেজাউস সাত্তার সংবাদ সম্মেলনে জানান, খাদিজার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেড়েছে। তার শরীর রেসপন্স করছে। আগে খাদিজার বাঁচার সম্ভাবনা ছিল ৫ শতাংশ, এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ১০ শতাংশ। সে যখন স্কয়ার হাসপাতালে আসে তখন তার চেতনাশক্তি ছিল নির্ণায়ক যন্ত্রে ১৫ তে ৬, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ এ ৬।’
নার্গিসের মা কোথায় এবং তিনি কেমন আছেন জানতে চাইলে ফয়জুল ইসলাম বলেন, মেয়েকে এ অবস্থায় রেখে মা কেমন থাকতে পারেন সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। মেয়ের এ অবস্থায় তিনি নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।