পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : তিন মাস আগে ক্যারিশমাটিক স্বাধীনতাকামী তরুণ নেতা বুরহান ওয়ানিকে হত্যার পর কাশ্মীরে যখন ব্যাপক ভারত বিরোধী বিক্ষোভ সূচিত হয় সে সময় কারফিউ অমান্য করে ভারতীয় সৈন্যদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া হাজার হাজার তরুণের মধ্যে আকিব মিরও ছিলেন একজন।
তিনি ভারতীয় শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের শ্লোগান দিতেন। তিনি কোনো কোনো সময় ভারত বিরোধী মন্তব্য ছুঁড়তেন এবং পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রতি পাথর নিক্ষেপ করতেন। প্রায় তিনমাস বিক্ষোভে অংশ নেয়ার পর তিনি স্থানীয় পুলিশের একটি চাকরি পাওয়ার চেষ্টায় হাজার হাজার তরুণ কাশ্মীরীর সাথে যোগ দেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাজধানী শ্রীনগরের একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে পুলিশ পদের জন্য শারীরিক পরীক্ষা দিতে আসা আকিব মিরকে তিনি কেন লাইনে দাঁড়িয়েছেন জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেনঃ আর কি, বেকারত্ব। তিনি বলেন, আমরা ভারত থেকে স্বাধীনতা চাই, এটা আমাদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু আমাদের তো জীবিকার্জন করতে হবে!
ব্যাপক বেকারত্ব কবলিত অশান্ত কাশ্মীরে ৮ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োগের জন্য রাজ্য পুলিশের বিজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে প্রায় ২০ হাজার তরুণ জড়ো হয়। কাশ্মীরে চাকরির সুযোগ সীমিত, কয়েক দশকের সংঘাতে অর্থনীতি পঙ্গু। সেখানে রাজ্য পুলিশ অন্যতম বড় নিয়োগকর্তা। সরকারী তথ্য অনুযায়ী, ১ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত রাজ্যে বেকারত্বের হার ৫ শতাংশেরও বেশী।
তবে কাশ্মীরে পুলিশ বাহিনীর সদস্য হওয়া একই সাথে লজ্জাজনক ও বিপজ্জনক। অধিকাংশ প্রার্থীই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলার সময় সংবাদপত্রের আলোকচিত্রীদের ছবি তোলার সময় তাদের মুখ ঢেকে রাখে। তা থেকে বোঝা যায় যে, কাশ্মীরের পুলিশরা তাদের দায়িত্ব পালনে অস্বস্তি বোধ করে। কাশ্মীরের বহু অধিবাসীই স্থানীয় পুলিশকে বিশ^াসঘাতক ও ভারত সরকারের হাতিয়ার বলে মনে করে। সেখানে স্বাধীনতা কিংবা পাকিস্তানের সাথে একীভূত হওয়ার দাবি ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর গুলিতে ৮৫ জন নিহত ও কয়েক হাজার আহত এবং ছররা গুলিতে শত শত তরুণ অন্ধত্বের শিকার হয়েছেন।
একজন তরুণ জানান যে, তিনি পুলিশ নিয়োগের নাটক দেখতে এসেছেন, যদিও তার নাম প্রার্থী তালিকায় দেখা যায়।
৮ জুলাই তরুণ নেতা বুরহান ওয়ানির হত্যার পর থেকে স্বাধীনতার দাবিতে প্রতিবাদ বিক্ষোভ নতুন মাত্রা পাওয়ার পর বহু কাশ্মীরী পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয়দের কাছ থেকে বৈরী আচরণের সম্মুখীন হচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯০-এর দশকে কাশ্মীর পুলিশ বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল মাত্র ১৮ হাজার। আজ তা ১ লাখেরও বেশী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, জনগণ কর্তৃক সন্দেহের শিকার হলেও প্রার্থীরা সরকারী ও নিয়মিত বেতন পাওয়ার আশায় প্রলুব্ধ হয়েছে। আকিব মির বলেন, বাধ্য হয়েই আমরা এসেছি। পেটের চিন্তা না করে উপায় কি? আমাদের দু’টি লড়াই ঃ একটি স্বাধীনতার জন্য, আরেকটি চাকরির জন্য। সূত্র : এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।