পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শুধু নির্বাচন নয় মানুষের স্বাধীনতা মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করাই গণতন্ত্র
শহীদ জেহাদ দিবসের বাণীতে খালেদা জিয়া
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, গণতন্ত্র মানে শুধুমাত্র নির্বাচন নয়, গণতন্ত্রের অর্থ হলো মানুষের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা।
শহীদ জেহাদ দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। বেগম খালেদা জিয়া বলেন, আজ রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরে অগণতান্ত্রিক অপশক্তি জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে আছে। তাই শহীদ জেহাদের রূহের প্রেরণাকে বুকে ধারণ করেই দেশি-বিদেশি অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহত, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে সক্ষম হব।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিল স্বৈরশাসক এরশাদ। গণতন্ত্রকে পূনঃপ্রতিষ্ঠা এবং দৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড় করানোর দৃঢ় প্রত্যয় নিয়েই জেহাদ নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আমরা তার সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে না পারলে তার রূহ কষ্ট পাবে। তাই গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষা এবং এর বিকাশ সাধন করতে হবে, আর এজন্য আমাদের আরও সংগ্রাম করতে হবে।
তিনি বলেন, শহীদ জেহাদ দিবস উপলক্ষে আমি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের নির্ভীক সৈনিক শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তার রূহের মাগফিরাত কামনা করি।
তিনি বলেন, শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদ সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে একটি অবিস্মরণীয় নাম। রক্তঝরা ঐ আন্দোলন ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র পূনঃপ্রতিষ্ঠার। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে গিয়ে শহীদ জেহাদ পুলিশের বুলেট নিজের বুকে বরণ করে নেন। শাহাদাত বরণ করেন এই অকুতোভয় ছাত্রনেতা। তার রক্ত স্রোতের ধারা বেয়েই সে বছর সংঘটিত হয় গণঅভূ্যূত্থান, পতন হয় স্বৈরশাসক এরশাদের।
পৃথক বাণীতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতন্ত্র পূনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অগ্রসেনানী শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদ এর বিদেহী রূহের মাগফিরাত কামনা করি ও তার অমলিন স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
হাবিব-উন-নবী সোহেল কারাগারে
খালেদা জিয়া ও মির্জা আব্বাসের নিন্দা
কোর্ট রিপোর্টার :রাজধানীর বেশ কয়েকটি থানায় করা নাশকতার ৪০ মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল সকালে সোহেল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ ৪০ মামলায় আত্মসমর্পণ করে করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার একাধিক মহানগর হাকিম আসামি সোহেলের সকল জামিন আবেদন নাকচ করে কারগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ বিষয়ে আসামির আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া সাংবাদিকদের জানান, হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের বিরুদ্ধে তদন্তাধীন ও অভিযোগপত্রভুক্ত প্রায় ১১০টি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে ৪০টি মামলায় আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। তার জামিনের জন্য জজ আদালতে আবেদন করা হবে। যে মামলাগুলোতে কারাগারে পাঠানো হয়েছে সেগুলোর মধ্যে পল্টন থানার ২২টি মামলা, মতিঝিল থানার ৩টি, দারুসসালাম থানার ২টি, যাত্রাবাড়ী থানার ৩টি, ওয়ারী থানার ২টি, মুগদা থানার ৩টি, খিলগাঁও থানার ২টি এবং রমনা, শাহবাগ ও মোহাম্মাদপুর থানার ১টি করে মামলা রয়েছে।
সকালে প্রথমে মোহাম্মদপুর থানার নাশকতার মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন নিতে ঢাকা মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপুর আদালতে যান। এরপর পর্যায়ক্রমে পল্টন ও মতিঝিল থানার মামলায় হাকিম লুৎফর রহমান শিশির, মুগদা ও খিলগাঁও থানার মামলায় হাকিম কাজী কামরুল ইসলাম, শাহবাগ ও রমনা থানার মামলায় হাকিম আহসান হাবীব, যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় হাকিম গোলাম নবী, ওয়ারী থানার মামলায় হাকিম গোলাম নবী এবং দারুসসালাম থানার মামলায় হাকিম খুরশীদ আলমের আদালতে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে সকল আবেদন নাকচ করে বিচারকরা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে বিএনপির ডাকা হরতাল-অবরোধে নাশকতার অভিযোগে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে মামলাগুলো দায়ের করা হয়।
খালেদা জিয়ার নিন্দা
হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিবৃতিতে তিনি বলেন, নিয়মিত আদালতে হাবিব- উন-নবী খান সোহেল ন্যায়বিচার পায়নি। পৃথক বিবৃতিতে নিন্দা জানান ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।