পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ই-কমার্সের নজরদারি, অর্থআত্মসাৎ প্রতিরোধ এবং গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষায় সরকারের ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জ করে আরও একটি রিট করা হয়েছে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘ই-অরেঞ্জ’র ৩৩ ভুক্তভোগী এ রিট দায়ের করেন। গতকাল শনিবার রিটের বিষয়টি জানান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
তিনি জানান, গত ২৩ সেপ্টেম্বর রিটটি ফাইল করা হয়েছে। আজ (রোববার) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রিটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান, সেন্ট্রাল ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক, ই-অরেঞ্জ শপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৬ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। রিটে আবেদনকারী ৩৩ জন ভুক্তভোগী গ্রাহকের ১৬ কোটি টাকা মূল্যের ভাউচার এবং বিভিন্ন দ্রব্যের ক্রয়াদেশ সংযুক্ত করা হয়েছে। তারা নির্দিষ্ট সময়ের পরেও তাদের ক্রয়কৃত পণ্য বা তাদের টাকা বুঝে পাননি। আবেদনে বাংলাদেশ ই-কমার্সের কেলেঙ্কারি সম্পর্কিত বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিবেদনও আবেদনের সঙ্গে সংযুক্তি হিসেবে দেয়া হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বাংলাদেশে বিদ্যমান ১০০০ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের একটি তালিকাও যুক্ত করা হয়।
অ্যাডভোকেট শিশির মনির জানান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯, প্রতিযোগিতা আইন-২০১২, জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা-২০১৮, ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১ এবং গণগ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩১ ও ৪২ এর আলোকে এবং বিভিন্ন মামলার নজির উল্লেখ করে ই-কমার্স কেলেঙ্কারি নজরদারি ও প্রতিরোধে এবং ভুক্তভোগী গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতা তুলে ধরা হয়েছে।
রিট আবেদনে আদালতের কাছে ই-কমার্স কেলেঙ্কারি নজরদারি ও প্রতিরোধে এবং ভুক্তভোগী গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতা অবৈধ ঘোষণা, ভুক্তভোগী গ্রাহকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ, গ্রাহক ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সুষ্ঠু পরিচালনার নিমিত্তে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেয়ার জন্য অর্থনীতিবিদ, তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ী ও স্বার্থ-সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন। ই-অরেঞ্জসহ অন্যান্য অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোতে রিসিভার নিয়োগ, অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বশীল ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদান। রিটে অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো কর্তৃক মানিলন্ডারিং হয়েছে কি-না তা তদন্ত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।