পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বল্পোন্নত দেশে (এলডিসি) উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। সংগঠনটি বলছে, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী দেশের বেসরকারি খাতকে যেসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হবে, তা মোকাবিলায় জাতিসংঘের সহায়তা প্রয়োজন। বিশেষত, দক্ষতা বৃদ্ধিতে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার কাছে করিগরি সহায়তা প্রয়োজন। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আয়োজিত ‘নিউ ওয়ার্ল্ড, নিউ হোপ: জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক সম্মেলনে এ সহায়তা চান এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের সহায়তায়, জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনের সাইড লাইনে এ সম্মেলনের আয়োজন করে সেন্টার ফর নন রেসিডেন্স বাংলাদেশিস। সম্মেলনে এফবিসিসিআই সভাপতি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে বাংলাদেশি শরণার্থী এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী দেশে ফেরার পর তাদের পুনর্বাসনে জাতিসংঘের সহায়তা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই জাতিসংঘের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। তবে ১৯৭৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সংস্থাটির ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলায় দেওয়া ভাষণের মাধ্যমে এ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়। এসময় শান্তি মিশনসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন কার্যক্রমে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তি কমিশন ও হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল উভয়েরই প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য বাংলাদেশ। স্বাধীনতা পরবর্তী দেশ পুনর্গঠনে, বিশেষত দারিদ্র্য দূরীকরণ, টেকসই উন্নয়ন কৌশল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ-জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলা, মাতৃ ও শিশু উন্নয়ন, টিকাদান, যুব উন্নয়ন, নারী ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, শিল্প উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা ও গবেষণায় জাতিসংঘের বিশেষ অবদান রয়েছে।
করোনা মহামারি দেশের অর্থনীতিতে কঠিন আঘাত হেনেছে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক দিকনির্দেশনা ও নীতিকৌশলের মাধ্যমে বাংলাদেশ দ্রুতই অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথে আছে। দারিদ্র্য বিমোচন, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার কমানো, গড় আয়ু বৃদ্ধি, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি, মাথাপিছু গড় আয় বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, টেকসই প্রবৃদ্ধিসহ আর্থ-সামাজিক সব সূচকে অগ্রগতির এ ধারা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশ এসডিজি অর্জন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর, বিশ্ব বাজারে দেশের বেসরকারি খাত বাড়তি কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। এসব চ্যালেঞ্জ জয় করতে ব্যক্তিখাতের দক্ষতা বৃদ্ধিতে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার কাছে কারিগরি সহায়তা চান তিনি।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি মো. আমিনুল হক, সালাহউদ্দিন আলমগীর এবং এম এ রাজ্জাক খান। এফবিসিসিআই সভাপতির নেতৃত্বে বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।