পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে দেশের চতুর্থ প্রজন্মের ইউনিয়ন ব্যাংকের কার্যক্রম। কিন্তু ব্যাংকিং রীতিনীতি না মেনেই ১৯ কোটি টাকা একজন ভিভিআইপি গ্রাহককে দিয়েছে ব্যাংকটি। গ্রাহক-ব্যাংক সম্পর্কে এমন লেনদেন হয় দাবি করে ইউনিয়ন ব্যাংক গুলশান শাখার তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারও করেছে। এ ঘটনায় যথাযথ নিয়ম মেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে ইউনিয়ন ব্যাংকের সব শাখার ভল্ট পরিদর্শন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখার ভল্ট থেকে ১৯ কোটি টাকা উধাও হয়েছে বলে গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল জানতে পারে। তবে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে এসেছে গতকাল বৃহস্পতিবার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং পরিদর্শন বিভাগ-৭-এর এক যুগ্ম-পরিচালকের নেতৃত্বে একটি দল ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখা পরিদর্শনে আসে। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী শুরুতেই পরিদর্শক দল ভল্ট পরিদর্শন করে। কাগজে-কলমে শাখার ভল্টে ৩১ কোটি টাকা দেখানো হলেও সেখানে ১২ কোটি টাকা পায় পরিদর্শক দল। ব্যাংকটি থেকে এর কোনো সদুত্তরও পায়নি তারা।
তবে বৃহস্পতিবার গুলশানে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হাসান ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, ব্যাংকিং আওয়ারের পর একজন ভিভিআইপি গ্রাহককে ওই টাকা দেয়া হয়েছিল। ব্যাংকিং রুলস ভায়োলেট হলেও এমন ঘটনা নতুন নয়। গ্রাহক-ব্যাংক সম্পর্কে এমন লেনদেন হয়। তবে কে এই ভিভিআইপি গ্রাহক এবং তিনি প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেখিয়ে এই টাকা নিয়েছেন কি না, এ বিষয়ে কিছু জানাননি হাসান ইকবাল। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান ব্যাংকের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ঘটনায় ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখার তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দলের উপস্থিতিতেই ১৯ কোটি টাকার হিসাব সমন্বয় করা হয়। তবে ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখন ইউনিয়ন ব্যাংকের সব শাখার ভল্ট পরিদর্শন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন ব্যাংকের ভল্টের টাকায় গরমিল হতে পারে। কোনো ব্যাংকের বিরুদ্ধে ভল্টের টাকায় গরমিলের মতো প্রমাণ যদি বাংলাদেশ ব্যাংক পায়, তবে অবশ্যই যথাযথ নিয়ম মেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, ইউনিয়ন ব্যাংকের কাছে আমরা ব্যাখ্যা জানতে দিয়েছি। এখনও উত্তর দেয়নি। এর জবাব পেলে ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেবো।
প্রতিদিন লেনদেনের শুরুতে এবং শেষে ভল্টের টাকা মিলিয়ে রাখার দায়িত্ব শাখার ব্যবস্থাপক, সেকেন্ড অফিসার এবং ক্যাশ ইনচার্জের। ভল্টে টাকার হিসাবে কোনো গরমিল হলে তা মিলিয়ে নেয়ার দায়িত্ব এসব কর্মকর্তার। অনেক সময় হিসাবের ভুলে সামান্য টাকার গরমিল হতে পারে। তবে বড় অঙ্কের টাকার গরমিল হলে তা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। এ ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পুলিশে সোপর্দ করার বিধান আছে। তবে ইউনিয়ন ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখার আওতাধীন গুলশান থানায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ থানায় আসেনি।
এর আগে চলতি বছরের ১৭ জুন ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার ভল্টে পৌনে ৪ কোটি টাকার হিসাবে গরমিল পাওয়া যায়। পরে জানা যায়, এ টাকা সরিয়ে নেন ওই ব্যাংকেরই একজন কর্মকর্তা। ওই ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ শাখাটির দুই কর্মকর্তাকে পুলিশ হেফাজতে দেয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এ ছাড়া কয়েক মাস আগে ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে ব্যাংকটির একজন আইটি অফিসার ১ হাজার ৩৬৩টি লেনদেনের মাধ্যমে ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। ঘটনাটি ব্যাংকের অডিটে ধরা পড়ে।
এর আগে ২০০৩ সালে তৎকালীন অরিয়েন্ট ব্যাংক থেকে ৫৭৪ কোটি টাকা হাওয়া ভবনের টেলিফোনে কোনরকমে চেক না লিখেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এ ঘটনার কারণে সেখানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাখাওয়াত স্বামী এক বছরের জেল খাটেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।