পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সুনামগঞ্জের শাল্লার ঝুমন দাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি কেএম জাহিদ সারোয়ার কাজলের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ শর্ত সাপেক্ষে এ জামিন দেন।
ঝুমন দাসের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জেড আই খান পান্না ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান চৌধুরী। আদেশের বিষয়ে মিজানুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, ঝুমন দাসকে ১ বছরের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে আদালতের অনুমতি ছাড়া এই এক বছরে তিনি সুনামগঞ্জের বাইরে যেতে পারবেন না। প্রসঙ্গত: গত ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে শানে রিসালাত সম্মেলন নামে একটি সমাবেশের আয়োজন করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এতে হেফাজতের তৎকালীন আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বক্তব্য রাখেন। ওই সমাবেশের পরদিন ১৬ মার্চ মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন দিরাইয়ের পার্শ্ববর্তী উপজেলা শাল্লার নোয়াগাঁওয়ের যুবক ঝুমন দাস। তিনি স্ট্যাটাসে মামুনুলের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগ আনেন।
তবে এ সমালোচনাকে ইসলামের সমালোচনা বলে এলাকায় অপপ্রচার চালাতে থাকেন মামুনুলের অনুসারীরা। এতে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দারা ১৬ মার্চ রাতে ঝুমন দাসকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরেরদিন কয়েক হাজার লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে ঝুমন দাসের বাড়িসহ বেশ কিছু বাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাট করে। পরে ঝুমন দাসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। এই মামলায় কয়েক দফায় জামিন আবেদন খারিজের পর ঝুমন দাস হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। ২১ সেপ্টেম্বর আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।