Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘সরকার হটাও আন্দোলন ডু অর ডাই হতে হবে’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০৫ এএম

সরকার হটাও আন্দোলন ‘ডু অর ডাই’ ‘এক দফা’ হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, আমি আগে থাকবো, আপনারা আমার পিছনে থাকবেন- সেই জায়গাটায় আসতে হবে। আমরা দীর্ঘকাল যদি ভালো থাকতে চাই, দেশের জনগনকে মুক্ত করতে চাই স্বল্প সময়ের জন্য একটা মরণ কামড় দিতে হবে। ডু অর ডাই- এক দফা। এর মাঝ খানে কোনো এতো কথা-বার্তার প্রয়োজন নাই। ডু অর ডাই-পরিস্কার কথা। দেশপ্রেম জাগ্রত করে গণআন্দোলন সৃষ্টির মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সকলকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহবানও জানান বিএনপির নীতিনির্ধারক এই নেতা।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সার্বভৌমত্ব রক্ষা পরিষদের উদ্যোগে ‘সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, হীরক রাজার দেশে- রশি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান খান। এই পথেই আমাদের হাটতে হবে। একদফার পথেই হাটতে হবে, মাঝ খানে অনেক কথা বলার দরকার নাই। এক দফা এক দাবি- হাসিনা তুই কবে যাবি। এটাই চলার পথ। এই পথেই গণতন্ত্রের মুক্তি, এই পথেই স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের মুক্তি, এই পথেই খালেদা জিয়ার মুক্তি, এই পথেই জনগনের মুক্তি, এই পথেই তারেক রহমানের নির্বিঘ্নে স্বদেশ প্রত্যাবর্তানের যে পরিবেশ তৈরি সেই পথেই হবে।

সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ভারতে আপনি তুষ্ট করতে পারবেন না সব দিলেও। কারণ অতৃপ্ত আকাক্সক্ষা কারো পক্ষে পূর্ণ করা সম্ভব হয় না। সেজন্য বলছি, দেওয়া দেয়ী বন্ধ করেন। এখন জনগণকে দেন। কী দেবেন? এই যে ১২ বছর যাবত গণতন্ত্র ভ্যানেটি বেগে রাখছেন- এটা খুলে দেন। যে আসেন ভোট দেন। আমি সরে যাবো। অর্থ্যাৎ নির্বাচনে আমি আসব তবে আমি সরকারে থাকবো না। এইটুকু বুক টান করে বলেন। তাতে কিছু লোকের ইতিবাচক প্রশংসা পাবেন ভোটে পাস করেন আর না করেন। ওই ইতিবাচক প্রশংসাটা হবে আগামী দিন আপনাকে এই বাংলাদেশে নিরাপদে রাজনীতি করার ক্ষেত্র।

চিত্র নায়িকা পরীমনিকে নিয়ে জনদৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার সরকারি কৌশলের প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর বলেন, দুর্বল সরকারকে ব্ল্যাক মেইল করা সবার পক্ষে সম্ভব, দেশের অভ্যন্তরে সম্ভব, বিদেশেও সম্ভব। এই নানা ধরনের কাহিনী বেরুচ্ছে। এক পরীমনির কাহিনী দিয়ে হাজার খদ্দের চুপ। পত্র-পত্রিকাও লাফাচ্ছে, সরকার কিছু বলছে না। আদালতও ধমকাচ্ছে- কেনো রিমান্ড দিচ্ছেন কেনো- এক পরীমনি। এক পরীমনির মধ্যে তো পরীমনি সীমাবদ্ধ না। এই বাজারটা তো ছোট না। এই বাজারের খরিদদ্বার সব শেখ হাসিনার আশে-পাশে। সেই কারনে বেশিক্ষণ পরীমনিকে নিয়ে মজা করা সরকারের সম্ভব হইবো না।


সংগঠনের সভাপতি ওসমান গণির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শরীফ হোসেনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সরকার হটাও আন্দোলন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ