পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক
ইয়েমেনের রাজধানী সানায় একটি দাফন অনুষ্ঠানে জেট বিমান থেকে দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৩০ জন নিহত এবং ৩শ’রও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। ইয়েমেনের শিয়া হুতি নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে। ইরান সমর্থিত হুতি গ্রুপ পরিচালিত সাবা নিউজ দাবি করেছে, আরব কোয়ালিশনের একটি জেট বিমান থেকে গতকাল বিকেলে আল-কাসিম স্ট্রিটের বিশাল মিলনায়তনে হামলা চালায়। ব্রিটেনভিত্তিক ‘দি মুসলিম নিউজ’ ওয়েবসাইট মৃতের সংখ্যা ১৪০ বলে উল্লেখ করেছে। তবে মৃতের সংখ্যা কোন নিরপেক্ষ সূত্রে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ইয়েমেন পোস্ট-এর সম্পাদক হাকিম আল-মাসমারি আল-জাজিরাকে জানান, ঘটনাস্থলে ৪ দফা বিমান থেকে হামলা চালানো হয়। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে দু’টি এবং পরে এলাকাটিকে ঘিরে ফেলে আরো দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। আল-মাসমারি বলেন, ‘কমপক্ষে ১৩০ জন নিহত এবং ৩শ’রও বেশি আহত হয়েছেন। শীর্ষ গোয়েন্দা ও সামরিক কর্মকর্তারা দাফন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সানার মেয়র আব্দুল কাদের হিলাল নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে’।
তবে আল-জাজিরা নিরপেক্ষভাবে নিহতের সংখ্যার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি।
স্বঘোষিত হুতি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জালাল আল-রুওয়েইশানের পিতার দাফন অনুষ্ঠান উপলক্ষে কথিত সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত থাকার প্রেক্ষিতে এ হামলা পরিচালনা করা হয় বলে নিরাপত্তা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায় সাবা নিউজ। একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, হামলা চালানোর সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জালাল আল-রুওয়েইশান সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে তার মৃত্যু হয়েছে না তিনি বেঁচে গেছেন তা নিশ্চিত করা যায়নি। বিমান হামলার পর বিশাল মিলনায়তনে আগুন ধরে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সানা কেন্দ্রিক ইয়েমেনের বিশ্লেষক হায়কাল বাফানা আল-জাজিরাকে জানান, হামলায় ৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়। ‘আমার বাসা থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে বিমান হামলার দৃশ্য আমি স্বচক্ষে দেখেছি। তারা প্রথমে একটি সাধারণ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে। সেটি মিলনায়তনের ছাদে এসে পড়ে। দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি ছিল ব্যাপক বিধ্বংসী। এটি বিস্ফোরিত হয়ে সম্পূর্ণ হলের ভেতর আগুন ধরে যায়। তৃতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি ছিল প্রথমটির মতোই’- যোগ করেন বাফানা। তিনি আরো জানান, দাফন অনুষ্ঠানে উপস্থিত কর্মকর্তারা এ হামলার মূল লক্ষ্য ছিল। আলী আব্দুল্লাহ সালেহ কদাচ দাফন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। বাফানার ধারণা, জেনারেল জালাল আল-রওয়েইশান ছিলেন হামলার লক্ষ্য। তার পিতা শেখ আলীর দাফনে যোগ দিয়েছিলেন সবাই। সূত্র : আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।