পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : চাকরিজীবী মুক্তিযোদ্ধাদের অবসর ও পিআরএলসহ ধারাবাহিকভাবে চাকরির বয়স আজীবন করার দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রাতিষ্ঠানিক ইউনিট কমান্ড সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মিয়া মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বৈরি রাজনৈতিক পরিবেশের মধ্যেও বিভিন্ন সরকারি বিভাগে যে মুক্তিযোদ্ধারা নিয়োগ লাভ করে তাদের চাকরির মেয়াদ প্রায় শেষ। বর্তমান সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ সুবিধা বাড়িয়েছে। এজন্য আমরা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে চাকরিজীবী মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির মেয়াদ দু’বছর বৃদ্ধি করে। পরবর্তীতে জাতীয়ভাবে সব সরকারি চাকরিজীবীদের বয়স ২ বছর বৃদ্ধি করায় মুক্তিযোদ্ধাসহ সব চাকরিজীবীর জন্যই সমান হয়ে যায়।
পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়স ৬৭ বছর করার দাবি জানালেও মাত্র ১ বছর বৃদ্ধি করে ৬০ বছর করা হয়। কিন্তু বিচারপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের চাকরির বয়স ৬৫-৬৭ বছর চালু রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও সচিব কমিটি কয়েকবারই মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির অবসর গ্রহণের বয়স বৃদ্ধির জন্য যে সুপারিশ করেছিলেন তা বাস্তবায়ন হয়নি। দুঃখজনক হলেও এটা বাস্তব সত্য যে, আর মাত্র ১-২ বছর পর প্রশাসন ও সরকারি, আধা সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত মুক্তিযোদ্ধা পাওয়া যাবে না। এতে আরো বলা হয়, ১১ হাজার চাকরিজীবী মুক্তিযোদ্ধা থাকলেও বর্তমানে রয়েছে মাত্র কয়েক হাজার। এসব মুক্তিযোদ্ধার কথা চিন্তা করে তাদের চাকরি আজীবন করার দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি হেদায়েতুল বারী, কার্যকরি সভাপতি দেলোয়ার হোসেন খান রাজীব উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।