পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুরের নোয়াগাঁও এলাকার পাতারটেকের নিহত সাত জঙ্গির একজন আকাশ বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত যে, তামিম চৌধুরীর পর যে নেতৃত্ব দিত ছদ্মনাম হোক আর তাদের সাংগঠনিক হোক তার নাম হচ্ছে আকাশ। সে এখানে নিহত হয়েছে, সেই সাতজনের মধ্যে একজন।
এ ছাড়া জঙ্গি আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম হওয়ায় তিনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশংসা করেন। বলেন, নারায়ণগঞ্জের সফল অভিযানের পর আমরা একের পর এক জঙ্গি আস্তানা গুঁড়িয়ে দিচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুরের দুটি এবং টাঙ্গাইলের একটি স্থানে জঙ্গি আস্তানা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় জঙ্গি-সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে গাজীপুরের নোয়াগাঁও এলাকার পাতারটেকের একটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আকাশের কর্মকা-ের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় বলে আসছি শতভাগ জঙ্গি নির্মূল করতে পারিনি। এর মধ্যে দু-একজন এদিক সেদিক ছিল তারাও সংঘবদ্ধ হওয়ার একটা প্রচেষ্টা নিচ্ছিল এই আকাশের নেতৃত্বে- এটাই আমাদের ধারণা ছিল। তিনি বলেন, আরও কয়েকটি সফল অভিযান হয়েছে। গাজীপুরের আরেক জায়গায় দুজন এবং টাঙ্গাইলে দুজন জঙ্গি নিহত হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাতজন জঙ্গি এখানে অবস্থান করছিল। আমাদের পুলিশ বাহিনী যখন তাদের আত্মসমর্পণের অনুরোধ করে, তখন তারা আত্মসমর্পণ না করে উপর্যুপরি গুলি বর্ষণ শুরু করে। শুধু গুলি বর্ষণ করে ক্ষান্ত হয়নি, তারা গ্রেনেড নিক্ষেপ শুরু করে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চরম ধৈর্য্যরে পরিচয় দেয়। আত্মসমর্পণের জন্য বারবার বলা হলেও তারা করেনি। এরপরে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, গাজীপুর জেলা পুলিশ, পুলিশ হেডকোয়ার্টার সফল অভিযান পরিচালনা করে। এখানে আমরা সাতটি লাশ, তিনটি অস্ত্র, একটি গ্যাস সিলিন্ডার, বেশ কিছু চাপাতি পেয়েছি। এই ঘটনায় একজন পুলিশ আহত হয়েছেন। তিনি হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি বলেন, একটা কিছু করার জন্য তারা এখানে সমবেত হয়েছিল।
এদিকে এর আগে রাজধানীর স্বামীবাগ লোকনাথ আশ্রম ও মন্দির পরিদর্শনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গুলশান ও শোলাকিয়ার জঙ্গি হামলার মাস্টার মাইন্ড মেজর (বহিষ্কৃৃত) সৈয়দ মো. জিয়াউল হককে যেকোনও সময় গ্রেফতার করা হবে। মেজর জিয়া গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে রয়েছেন। তিনি বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী জড়িত ব্যক্তিদের সবাইকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অনেকে ধরাও পড়েছেন। বাকিরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছে। গাজীপুর ও টাঙ্গাইলের অভিযান নিয়মিত অভিযানেরই অংশ বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, পুলিশ এবং র্যাবের যৌথ নেতৃত্বে গাজীপুরে অভিযান হয়েছে। টাঙ্গাইলেও একটা ঘটনা ঘটেছে এবং আরও দু-এক জায়গায় এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এসময় তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, দেশে জঙ্গিবাদের কোনও জায়গা নেই। জঙ্গিবাদকে কোনও ধরনের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। মন্ত্রী জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি দেবাশীষ বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।