পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি দেশের মানুষের আস্থা হারিয়ে এবং ভারতের ওপর হতাশ হয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে।
তিনি বলেন, বিএনপি প্রকৃত বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় দেশের মানুষের ওপর তাদের কোনো আস্থা নেই। আর তাই তারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বারবার বিদেশী শক্তির ওপর নির্ভর করছে। তিনি জানান, এবারের আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনার পাশাপাশি দলের ভবিষ্যৎ নেতা হিসেবে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ফোকাস করা হবে।
গতকাল শনিবার দুপুরে ধানমন্ডির প্রিয়াঙ্কা কমিউনিটি সেন্টারে আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতির সাজসজ্জা উপ-কমিটির বৈঠকে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকাশ্য শত্রু হিসেবে বিএনপি বিরোধী দলের ভূমিকায় ব্যর্থ। তারা এখন ভারতের বিরোধিতা করছে। আশা নিয়ে বসে আছে, যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পছন্দের কেউ নির্বাচিত হলে তারা আবার ক্ষমতায় বসবেন। জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
তিনি বলেন, জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আরো শক্তিশালী হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের সাধারণ মানুষের দল। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দেশের মানুষের ওপর নির্ভর করেন।
কাদের বলেন, রাজনীতিতে বর্তমানে আওয়ামী লীগের প্রকাশ্য কোনো শত্রু নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগের গোপন শত্রুরা বসে নেই। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ গোপন থেকে প্রকাশ্যে আসার চেষ্টা করছে। তাই সম্মেলনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের গোপন শত্রুদের সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। আমাদের গোপন শত্রুরা কি চাইবে যে, সফলভাবে আমাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হোক? চাইবে না।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলন সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হোক তা তারা কখনো চাইবে না। আর তাদের সম্পর্কে সম্মেলনে দায়িত্ব পালনকারী সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
কাদের বলেন, ২০তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ব্যক্তিগত সৌজন্যমূলক পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড পরিহার করতে হবে। আমাদের দলের ভবিষ্যৎ নেতা সজীব ওয়াজেদ জয়কে ফোকাস করতে হবে। এবারের জাতীয় সম্মেলনে ফোকাস হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমাদের ভবিষ্যত নেতা সজীব ওয়াজেদ জয়। তাছাড়া এই পরিবারে পুতুল, টিউলিপসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও এবং জাতীয় চার নেতা ফোকাসে থাকবে। জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি ব্যানার ও পোস্টারে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও জাতীয় নেতাদের ছবি ছাড়া আর কোনো ছবি থাকবে না। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে এ গাইডলাইন কার্যকর করা হবে বলে জানান তিনি।
এ সময় দলের নেতাকর্মীদের আরো সুশৃঙ্খল হওয়ার পরামর্শ দিয়ে কাদের বলেন, পূর্বে শৃঙ্খলা ভঙ্গের আমাদের অপরাধ নেত্রী ক্ষমা করে দিয়েছেন। তবে ভাববেন না, এটা স্থায়ী ক্ষমা। এটাকে স্থায়ী ক্ষমা মনে করার কোনো কারণ নেই।
বৈঠকে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন দেশের মানুষের আবেগের বিষয়। তাই এ সম্মেলন যাতে সুশৃঙ্খল ও আড়ম্বরপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি বলেন, এ জন্য মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপ-কমিটির সঙ্গে শৃঙ্খলা উপ-কমিটির কাজের সমন্বয় করতে হবে।
দলের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নিরাপত্তার ঝুঁকিকে সামনে রেখে এখন থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের চলাফেরার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা উচিত।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের সভাপতিত্বে সম্মেলন প্রস্তুতির সাজসজ্জা উপ-কমিটির বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য সাহারা খাতুন, পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমতউল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানসহ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।