পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইখতিয়ার উদ্দিন সাগর : আর মাত্র এক দিন। তারপরই প্রকৃতি সাজবে বসন্তের সাজে। ঝিরিঝিরি বাতাসে প্রফুল্ল চিত্তে সব জরাজীর্ণ মুছে ফেলে আনন্দে মাতবে বাঙালি। আর সেই বাসন্তী সাজের আমেজ দোলা দেবে অমর একুশের গ্রন্থমেলায়ও। প্রাণের মেলায় সঞ্চারিত হবে নতুন প্রাণ।
এদিকে মেলা শুরুর কয়েকদিন পর থেকেই বইমেলায় নিয়মিতই আসছে বিখ্যাত লেখকদের বই। স্টলে স্টলে শুধু বইয়ের সমারোহ। পাঠকরাও কিনছেন মনের মতো পছন্দের বই। দেখেই মনে হচ্ছে মেলা তার পুরো যৌবনে।
এই বিষয়ে কথা হয় মুক্তচিন্তার প্রকাশকের সাথে। তিনি বলেন, প্রথম দিকে মেলায় যে পরিমাণ বই ছিল, এখন তার থেকে অনেক বেশি। প্রতিদিনই নতুন নতুন বই মেলায় আসছে। এতে পাঠকরাও ইচ্ছামতো তাদের পছন্দের লেখকের বই কিনতে পারছে।
গতকাল ঠা-া ঠা-া আমেজে গ্রন্থমেলা শুরু থেকেই ছিল পাঠকের পদচারণায় মুখর। এবারের মেলার বিশেষ দিক হচ্ছে ছুটির দিন ছাড়াও সপ্তাহের অন্যদিনে পাঠক-ক্রেতাদের ভিড়। বইয়ের বিকিকিনিও বেশ। মেলার বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দুই প্রাঙ্গণই জমজমাট। তবে সবারই অপেক্ষা মেলায় দ্বিতীয় শুক্রবার অর্থাৎ ১২ ফেব্রুয়ারির জন্য। তার পরদিন ১৩ ফেব্রুয়ারি পহেলা ফাল্গুন এবং তার পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। টানা এই তিন দিনই মেলায় থাকবে উৎসবের আমেজ।
মূলমঞ্চের অনষ্ঠান : বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলাদেশে শিশুসাহিত্য চর্চা : অতীত থেকে বর্তমান’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর শাহীন আখতার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আসলাম সানী, রাশেদ রউফ এবং সুজন বড়–য়া। সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট লেখক রশীদ হায়দার।
প্রাবন্ধিক বলেন, বাংলাদেশের শিশুসাহিত্য বিষয়বৈচিত্র্যের দিক থেকে প্রায় সর্বপ্রান্তস্পর্শী। তবুও একটি দিকে ঘাটতি থেকে গেছে। শিশুসাহিত্যের সৌধে চড়ার প্রথম সোপানটিতেই আছে দুর্বলতা। লেমিনেটেড কাগজে রঙ-চঙা বর্ণপরিচয়ের বই আজকাল ঢাকার রাস্তায় বিকোয়। কিন্তু তাতে আদৌ বাঙালিত্ব বা দেশজ আবহ আছে কিনা, তা ভাববার বিষয়। প্রাক-বিদ্যালয় পর্বের বই বলে এগুলো জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের প্রকাশনার আওতায় পড়ে না।
আলোচকবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের শিশুসাহিত্য বিচিত্র ও বহুমাত্রিক। আমাদের পূর্ব প্রজন্মের শিশুসাহিত্যিক এবং উত্তরপ্রজন্মের শিশুসাহিত্যিকরা বিষয়বস্তুর নতুনত্ব, ভাষার সজীবতা, অঙ্গীকারের স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে শিশুকিশোরদের স্বপ্নভুবনের সন্ধান দিয়েছেন। নিজস্ব মৃত্তিকার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে আন্তর্জাতিক চেতনার মেলবন্ধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের শিশুসাহিত্যের নবযাত্রা সূচিত হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে রশীদ হায়দার বলেন, বাংলাদেশের শিশুসাহিত্যের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আমরা দেখব এক্ষেত্রে বাংলার আবহমান ঐতিহ্যের সঙ্গে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সংযোগ ঘটেছে শিল্পিতরূপে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।