পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বিশ্বের অন্যান্য সুন্দর শহরগুলোর মতো করে ঢাকাকে তৈরি করার সুযোগ নেই। সব জায়গায় বহুতল ভবন করে ফেলেছে। ঢাকা শহরে এখন ২ কোটির বেশি মানুষ রয়েছে। যা বিশ্বের জনবহুল দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। কাউকে তো জোর করে বের করা যাবে না। সেজন্য আমরা গ্রামে সুযোগ সুবিধা বাড়াচ্ছি। আগামী এক মাসের মধ্যে রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ সহনীয় পর্যায়ে আসবে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ের বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী বলেন, এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার অন্যতম কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। তার ওপর দীর্ঘসময় ধরে চলা বিধিনিষেধ ও ঈদের ছুটিতে মানুষ গ্রামের বাড়ি চলে যায়। যে কারণে পরিত্যাক্ত স্থানে পানি জমে মশার জন্ম হয়েছে। অন্যদিকে নির্মাণাধীন ভবনগুলোর শ্রমিকরা ছুটিতে থাকায় সেখানেও মশার লাভা পাওয়া গেছে। ২০১৯ সাল থেকে মশা নিধনের জন্য একটি পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০২০ সালে কাজ করি। এজন্য সে বছর আক্রান্ত হয় মাত্র ১৪০৫ জন। কিন্তু ২০২১ সালে দেখলাম অনেক বেশি আক্রান্ত হয়েছে। বেড়ে মৃত্যুর সংখ্যাও।
ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও ফিলিপাইনে ডেঙ্গু আক্রান্তের তথ্য তুলে ধরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এসব দেশে প্রচুর আক্রান্ত হয়েছে। তাদের থেকে বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক যে এবার ডেঙ্গুতে অনেক শিশু মারা গেছে। অনেকে স্বজন হারিয়েছেন। আমরা আর একজনকেও হারাতে চাই না। এবার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে এটা পরের সময়গুলোতে কাজে লাগিয়ে পদক্ষেপ নেব।
ডেঙ্গু পরিস্থিতির মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র বিদেশ সফরে কী করে থাকেন? এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মস্ত্রী বলেন, পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি দেশের বাইরে ছিলেন, তবে এখন চলে এসেছেন। আমাকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেনও। তিনি যথেষ্ট কাজ করছেন। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষকে সচেতন করা যাচ্ছে না।
পাশের বাড়ির মানুষ ডেঙ্গুতে মারা যাচ্ছে তারপরেও এরা সচেতন হচ্ছে না। এদের নিজে থেকে সচেতন হতে হবে। আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি, মশা নিধনের জন্য জরিমানা করছি। এ মাসের মধ্যে প্রকোপ অনেক কমে যাবে।
মন্ত্রী বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই রাজধানী ঢাকাকে ঘিরে তৈরি করা ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) চূড়ান্ত করার হবে। আমরা ইতোমধ্যে ড্যাপের অংশীজনদের মতামত নিয়েছি এখন পর্যালোচনা চলছে। আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যেই তা চূড়ান্ত করা যাবে।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য সুন্দর শহরগুলোর মতো করে ঢাকাকে তৈরি করার সুযোগ নেই। সব জায়গায় বহুতল ভবন করে ফেলেছে। ঢাকা শহরে এখন ২ কোটির বেশি মানুষ রয়েছে। যা বিশ্বের জনবহুল দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। কাউকে তো জোর করে বের করা যাবে না। সেজন্য আমরা গ্রামে সুযোগ সুবিধা বাড়াচ্ছি।
মন্ত্রী বলেন, এখন সকল নাগরিক সমান হোল্ডিং ট্যাক্স, বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল দিচ্ছেন। এখন যদি গুলশানে হোল্ডিং ট্যাক্স, বিদ্যুৎ বিল বাড়িয়ে দেই তাহলে তিনি গুলশান কিংবা ধানমন্ডি না থেকে টঙ্গী চলে যাবেন। তাহলে টঙ্গীতেই তার সুবিধা করে দিতে হবে।
রাজধানী ঢাকাকে একটি পরিকল্পিত নান্দনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১৬-২০৩৫ সাল পর্যন্ত ২০ বছরের জন্য তৈরি করা হয় ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান বা বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ)। ঢাকা ও এর আশেপাশের এরিয়া ধরে মোট এক হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার ভূমি নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে ঢাকাকে একটি মানবিক ও দৃষ্টিনন্দন শহর হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যার মূল লক্ষ্য আর্থ-সামাজিক শ্রেণি পেশার মানুষের প্রয়োজন ও জীবনযাত্রাকে উন্নত করা। এর আগেও ঢাকাকে পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে তৈরি করা হয় মাস্টারপ্ল্যান’ ১৯৫৯-১৯৮১, ঢাকা মহানগরী এলাকার সমন্বিত পরিকল্পনা-১৯৮১। এছাড়াও ১৯৯৫-২০১৫ সাল র্পযন্ত প্রণয়ন করা হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন প্ল্যান-ডিএমডিপি। রাজউকের তৈরি করা এই পরিকল্পনা অনুমোদন পায় ১৯৯৭ সালে এসে। ১৯৯৫ -২০১৫ করা ডিএমডিপির আলোকে ২০১০ সালে তৈরি করা হয় ‘ঢাকা স্ট্রাকচার প্ল্যান। এই প্ল্যান বাস্তবায়নে তৈরি করা হয় বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা ২০১৬-২০৩৫, যার সংশোধন চলছে এখন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।