Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কিছু পুলিশের কর্মকান্ডে ক্ষুন্ন সরকারের ভাবমর্যাদা

প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৪০ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬

উমর ফারুক আল হাদী : পুলিশের কর্মকান্ডে ক্ষুন্ন হচ্ছে সরকারের ভাবমর্যাদা। একশ্রেণীর পুলিশ সদস্যের অপরাধমূলক কর্মকান্ড ও বেপরোয়া আচরণের জন্য পুলিশ বাহিনী এখন আন্তর্জাতিকভাবেও বিতর্কিত হচ্ছে। এ অভিযোগ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের। তারা বলছেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু এ কথা এখন আর বলা যাবে না। বরং জণগণের মধ্যে দিন দিন পুলিশি আতঙ্ক ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। একশ্রেণীর অসাধু পুলিশ সদস্যের কারণে শুধু সরকার নয়, এখন আন্তর্জাতিকভাবেও পুলিশের মর্যাদা ক্ষুণœ হচ্ছে। পুলিশ কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘনেরও ঘটনা ঘটছে অহরহ। এ অভিযোগ করেছেন বিশিষ্টজনেরা।
পুলিশ কর্তৃপক্ষ নিজেরা নিজেদের সদস্যদের অভিযোগের তদন্ত করতে পারবে না, পুলিশি তদন্তের বিষয়ে একজন রাজনৈতিক কর্মীর ফৌজদারি মামলার রায়ে হাইকোর্টের এ ধরনের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। তারপরও পুলিশ দিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগগুলো তদন্ত করা হচ্ছে, যা আদৌ করা উচিত নয়। তারপরেও দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ এ কাজটি করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার চেয়ারম্যান সিগমা হুদা গতকাল এসব কথা বলেছেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, সম্প্রতি পুলিশ বাহিনীর কোনো কোনো সদস্যের অসদাচরণ ও কয়েকটি পুলিশি নির্যাতনের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এসব ঘটনা প্রমাণ করে পুলিশ এখনো সত্যিকার অর্থে জনগণের বন্ধু হয়ে উঠতে পারেনি। পুলিশি নির্যাতনের ঘটনায় একদিকে যেমন পুলিশ বাহিনীর ভাবমর্যাদা নষ্ট করছে, অন্যদিকে আন্তর্জাতিকভাবেও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৩ ফেব্রুয়ারি মিরপুর শাহআলী থানার চার পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে তাদের সোর্স দেলোয়ার চাঁদা আদায়ের জের ধরে বাবুল মাতব্বর নামে একজন চা দোকানিকে জ্বলন্ত চুলার ওপর ফেলে হত্যা করে। এর আগে ৯ জানুয়ারি একজন ব্যাংক কর্মকর্তাকে নির্যাতন, এরপর ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তাকে নির্যাতন, ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হেনস্তা, ২৭ জানুয়ারি যশোরে টাকার জন্য প্রবাসীকে আটক রেখে পুলিশ নির্যাতন করেছে। এছাড়া গত ১৭ জানুয়ারি আগৈলঝাড়ায় ব্যবসায়ীকে পুলিশের নির্যাতনের খবরসহ নানা ধরনের খবর প্রতিদিন আসছে। এই ঘটনাগুলোর জন্য শুধু অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার বা সরিয়ে নেয়া নয়, যথাযথ তদন্তপূর্বক দোষী সাব্যস্ত হলে ফৌজদারি আইনে তার শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, পুলিশি তদন্তের বিষয়ে সংস্থা কর্তৃক একটি মামলা ও মনি বেগম নামে একজন রাজনৈতিক কর্মীর ফৌজদারি মামলার রায়ে হাইকোর্টের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে যে, পুলিশ কর্তৃপক্ষ নিজেরা নিজেদের সদস্যদের মামলার তদন্ত করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে নিরপেক্ষ একটি প্রতিষ্ঠান বা কমিটি প্রণয়ন করে এসব তদন্তের সুপারিশ করেন তিনি।
বিচারবিভাগীয় তদন্তে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ এসআই রতনের বিরুদ্ধে প্রমাণিত
রাজধানীর আদাবর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রতন কুমার হালদারের বিরুদ্ধে বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি।
গতকাল বুধবার ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ হাফিজুর রহমান ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
গত ৩১ জানুয়ারি মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদের কাছে এসআই রতন কুমার হালদার বেসরকারি আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে হেনস্তা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরদিন রতন কুমারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ঘটনা তদন্তে ঢাকা মহানগর পুলিশ এবং পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
বিচারবিভাগীয় ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, উপপরিদর্শক রতন কুমার হালদার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালর ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই তদন্তে পাঁচজন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনকে নিরপেক্ষ হিসেবে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এ দুজনই বিচারকের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন, গত ৩১ জানুয়ারি ওই ছাত্রী আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষ করে ফিরছিলেন। মোহাম্মদপুরের জাপান-গার্ডেন সিটির কাছে এলে এসআই রতনসহ পুলিশের তিন সদস্য রিকশার গতিরোধ করে ওই ছাত্রীকে একটি দোকানে ঢোকান। এর পর এসআই রতন ওই শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করেন।
৩১ জানুয়ারির ঘটনার পরদিন ওই ছাত্রী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ঢাকা-৪ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নালিশি মামলা করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। ঢাকার মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক তদন্ত শেষে এই প্রতিবেদন মুখ্য মহানগর হাকিমের কাছে প্রতিবেদন দেন। মুখ্য মহানগর হাকিম আজ এই প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে জমা দেন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, কিছু পুলিশ সদস্যের কারণে নষ্ট করা হচ্ছে গৌরবময় পুলিশ বাহিনী ও সরকারের অর্জন। চিহ্নিত পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তা কর্তৃক সংঘটিত বিছিন্ন ঘটনাগুলো পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তা নিজ স্বার্থে গোটা পুলিশ বাহিনী ও সরকারের ভাবমর্যাদা নষ্ট করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক প্রভাবে বেপরোয়া পুলিশ
রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে কিছু পুলিশ সদস্য বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এ অভিযোগ খোদ পুলিশ বাহিনীর পেশাদার ও মেধাবী পুলিশ কর্মকর্তাদের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা বলেন, পুলিশের সৎ, যোগ্য ও মেধাবীদের অনেকেই বঞ্চিত। তাদের কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। একশ্রেণীর দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তার কারণে এ বাহিনী বিতর্কিত হচ্ছে। পুলিশ সদস্য কর্তৃক আলোচিত কয়েকটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলা ও তদন্ত চলছে। পুলিশ বাহিনীতে যেসব সদস্য ও কর্মকর্তা রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের চেয়েও রাজনৈতিক বলয় সৃষ্টি করছে এবং বিছিন্ন ভাবে অঘটন ঘটিয়ে যাচ্ছে, তাদেরকে চিহ্নিত করা সময়ের প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন সচেতন ব্যক্তিরা। তারা বলছেন, রাজনৈতিক পরিচয়ের কিছু পুলিশ সদস্য নিজেদেরকে মনিব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে। তারা সাধারণ মানুষের সাথে যে খারাপ আচরণ করছে তাই নয়, খোদ ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সাথেও একই আচরণ করছে বলে অনেক অভিযোগ রয়েছে। শুধু তা-ই নয় ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টির পেছনে এ ধরনের পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তারা বিভিন্ন কর্মকা-ের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, একের পর এক অপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িয়ে পড়া মাঠপর্যায়ের কিছু বেপরোয়া পুলিশ সদস্যকে নিয়ে পুলিশ প্রশাসনও বিব্রত ও ক্ষুব্ধ। গত কিছু দিন দেশে ঘটে যাওয়া কিছু পুলিশের অপরাধের ঘটনায় সারাদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এসব অসাধু পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য একাধিক রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার, নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে দুর্নীতি রাজনীতিকরণের কারণে পুলিশের অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে। প্রশিক্ষণ, মনিটরিং, রাজনীতিমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, পেশাদারিত্ব, কমিটমেন্ট ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হলে অপরাধ কমে আসবে বলে মনে করেন তারা। কারণ পুলিশ বেপরোয়া হয়ে এসব অপরাধ ঘটায়।
সাধারণ মানুষের অভিযোগ, রাজধানীর বিভিন্ন থানার পুলিশের রাত্রিকালীন টহল পার্টি, মোবাইল টিম, বিট পুলিশ সদস্যরা এসব অপরাধ বেশি করছে। বিশেষ করে এসআই থেকে শুরু করে কনস্টেবল পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা নিরীহ মানুষকে নিযার্তন করছে। তবে কোনো পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত অপরাধের দায় বাহিনী নেবে না বলে পুলিশের শীর্ষ পর্যায় থেকে বারবার বলা হচ্ছে। বেপরোয়া পুলিশকে শান্ত করতে সরকার ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থদের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ চাইছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, সরকার কর্তৃক পুলিশ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। নইলে নতুন কিছু আইন করে পুলিশকে জনবান্ধব করে গড়ে তুলতে হবে। অথবা পুলিশ অপরাধে জড়িয়ে গেলে তাদের বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে। অপরাধের বিষয়ে পুলিশের বিভাগীয় ব্যবস্থা দায়সারা হলে চলবে না। পুলিশকে ফৌজদারি আইনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এখানে যদি তাদের শাস্তি দেয়া যায় তবে পরবর্তীকালে এই সমস্যা এতটা দীর্ঘ হবে না। পুলিশরাও শাস্তির ভয়ে নিজেদের জায়গায় থেকে কোনো রকম দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়ার ভাবনা থেকে পিছিয়ে আসবে। তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়াকেও স্বচ্ছ করতে হবে। আর ভালো কাজ করলে সেজন্য তাদের পুরস্কৃত করাটাও জরুরি। সব মিলিয়ে এসব বিষয়ে সরকারের সুনির্দিষ্ট ও প্রত্যক্ষ ভূমিকা থাকা প্রয়োজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞানবিষয়ক শিক্ষক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার ও নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে দুর্নীতির আশ্রয় নেয়ার কারণে মাঠপর্যায়ের কিছু পুলিশ সদস্য দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। একই সঙ্গে তাদের মধ্যে কমে যাচ্ছে পেশাদারিত্ব। পুলিশ অপরাধ করলে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মুখোমুখি না হওয়ায় এ বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। গুটিকয়েক পুলিশ সদস্যের কারণে এত বিশাল বাহিনীর ভূমিকা জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। পুলিশের অপরাধের তদন্ত পুলিশ কর্তাদের দিয়েই হয় বলে নিরপেক্ষ তদন্ত হয় না। সাবেক বিচারপতি কিংবা আইজিপির মতো নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কমিশন গঠন করে অপরাধী পুলিশ সদস্যদের বিচারের মুখোমুখি করলে অপরাধ প্রবণতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অনেকটা কমে আসবে বলে তিনি দাবি করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, কয়েকজন পুলিশ সদস্যের আচরণে পুরো পুলিশ প্রশাসনই বিব্রত ও ক্ষুব্ধ। এ নিয়ে দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তারা রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন। বেপরোয়া ও অসাধু কতিপয় মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যের আচরণে পুরো পুলিশ বাহিনীর ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ হচ্ছে। সেজন্য পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারাও এসব বিষয়ে কোনো ছাড় না দিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে এক ধরনের দায়মুক্তির মনোভাব গ্রাস করেছে। এসব অসাধু ও বেপরোয়া পুলিশ সদস্যকে নিয়ে বিব্রত ও বিপাকে পড়ছেন শীর্ষ কর্মকর্তারা। তিনি আরও বলেন, তাদের যেভাবে পুলিশ নির্যাতন করেছে, তা দেশি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদ-ে, সাংবিধানিক অধিকার ও নির্যাতনবিরোধী আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এ বিষয়ে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম জানান, কোনো পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত অপরাধের দায় বাহিনী নেবে না। দুটি ঘটনায় ডিএমপি ও পুলিশ সদর দফতর থেকে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিগুলোর সুপারিশ অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশের বিরুদ্ধে পুলিশের তদন্ত গ্রহণযোগ্যতা পাবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, ভুল-ত্রুটি থাকতেই পারে। তবে অবশ্যই পুলিশের ওপর আস্থা রাখতে হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কিছু পুলিশের কর্মকান্ডে ক্ষুন্ন সরকারের ভাবমর্যাদা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ