আশি^নের প্রথম সপ্তাহ চলছে। ভাদ্র মাসের মাঝখান থেকে অসময়ের তাপদাহে উধাও হয়ে যাওয়া মেঘ-বৃষ্টি হঠাৎ জোরদার হয়েছে। কেটে গেছে অহস্য গরম। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী বায়ু।

এর প্রভাবে গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের অধিকাংশ স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ, বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারীবৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় সন্দ্বীপে ১৮৯ মিলিমিটার। গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় এই দ্বীপ উপজেলায় ১৯৩ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়েছে। আশি^নে মুষলধারে বর্ষণে ভাসছে সন্দ্বীপ।

তাছাড়া গতকাল সন্ধ্যা অবধি ২৪ ঘণ্টায় উল্লেখযোগ্য ভারী থেকে অতিবৃষ্টি হয়েছে- চাঁদপুরে ১৬২, চট্টগ্রামে ১৪৮, কুতুবদিয়ায় ১১০, গোপালগঞ্জে ৫৩, পটুয়াখালী ও সীতাকুণ্ডে ৫২, মাদারীপুরে ৫১, নোয়াখালীতে ৪৫, কক্সবাজারে ৪৪ মি.মি.সহ অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ হয়েছে। তবে রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি ঝরেছে। ঢাকা মহানগরীতে বৃষ্টিপাত হয়নি, তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩১.১ এবং সর্বনিম্ন ২৬.৪ ডিগ্রি সে.। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৪.৫ এবং সর্বনিম্ন সন্দ্বীপে ২৪.২ ডিগ্রি সে.।

আজ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান জানান, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায়, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। এরপরের ৫ দিনে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে পারে।
মৌসুমী বায়ুর একটি বলয় ভারতের রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।