Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরকার জানে না, খটকা লাগে এখানেই

সংবাদ সম্মেলনে প্রেসক্লাব সভাপতি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবের ঘটনা সরকার বা কোনো প্রতিষ্ঠান কিছু জানে না। আমাদের খটকা লাগে এখানেই। সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠিত সংগঠনগুলোর নির্বাচিত শীর্ষ নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবের নামে সম্মানহানির প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। গতকাল শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন জাতীয় প্রেস ক্লাব, বিএফইউজে, ডিইউজে ও ডিআরইউ নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আমাদের শঙ্কা সাংবাদিক ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কেন এ অভিযোগ! আমরা মনে করি, সাংবাদিকদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে এ ধরনের কাজ সাংবাদিকদের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে। তিনি বলেন, সাংগঠনিকভাবে আঘাত করা হয়েছে। এটি কেবল ব্যক্তিকে নয়, প্রতিষ্ঠানকেও কলঙ্কিত করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পেশাদার সাংবাদিক সংগঠনগুলোর নির্বাচিত শীর্ষ নেতাদের ব্যাংক হিসাব এভাবে তলব করা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনা। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের তদন্ত হতেই পারে। কিন্তু ঢালাওভাবে এ ধরনের পদক্ষেপ উদ্দেশ্যমূলক বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কেন, কী কারণে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। বিএফআইইউর এ পদক্ষেপ সাংবাদিকদের মনে ভয়ভীতি সৃষ্টির কৌশল। এর মাধ্যমে সরকার ও গণমাধ্যমকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়ার প্রয়াস চালানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এছাড়া ব্যাংক হিসাবে যদি কোনো অস্বাভাবিক লেনদেন কিংবা কোনো ধরনের মানি লন্ডারিং কিংবা জঙ্গি অর্থায়নের তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায় তা যেন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয় সেই দাবিও লিখিত বক্তব্যে তুলে ধরেন ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক

পরে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল বলেন, আমরা মনে করছি এটি ভয়ভীতির জন্য করা হয়েছে। এটা উদ্দেশ্যমূলক। তাই আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এছাড়া এটি মত প্রকাশ ও সাংবাদিকতার জন্য হুমকি বলেও মনে করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আব্দুল মজিদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী।



 

Show all comments
  • মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৪:৩৫ এএম says : 0
    নির্বাচন আসতেছে এই জন্য ভয়ে রাখতে এই পলিসি এবং পলিটিক্স এই অবৈধ সরকারের,সাংবাদিক সত্য কথা বলবে জনগণ দেখবে,অবৈধ সরকার পতন হবে,এই জন্য সাংবাদিকরা যেন ভয়ে থাকে যে আমাদের সব কিছু শেষ হয়ে যাবে,এই জন্যই আমি বলতেছি এই শয়তানী দলীয় আমলাতান্ত্রিক সংসদীয় পদ্ধতি বাতিল করা হউক। সংসদীয় পদ্ধতি দলীয় শয়তানী ছাড়া আর কিছুই না। আপনারা রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি চালু করুন আমরা দলীয় শয়তানী সংসদীয় পদ্ধতি মানি না।বিশেষ করি আমি মানি না,যেই সংসদে শিক্ষার দাম নেই শিক্ষিত মানুষের মূল্য নেই,আছে হকারদের দাম ,আছে যাত্রার মেয়েদের দাম ,আছে কালো বাজারীর দাম,আমি এই দরনের সংসদীয় পদ্ধতি মানি না,1990তে এরশাদ কে স্বৈরাচার বলে ক্ষমতাচুত করা হয়েছিল ,এই ধরনের দলীয় আমলাতান্ত্রিক সংসদীয় পদ্ধতির জন্য নয় ,ঐ সময় কথা ছিল বহু দলীয় সংসদীয় পদ্ধতি,বহু দলীয় সংসদীয় পদ্ধতির নিয়ম এই নয় যে নির্বাচিত সরকার তার হাতে ক্ষমতা রেখে নির্বাচন করবে,এইটা কি করে বহু দলীয় সংসদীয় নির্বাচন হয় অথবা হবে,আমি এই বেপারে দেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং বিশিষ্ট জনদের এবং রাষ্ট্র বিজ্ঞানীদের কাছে তাহার উত্তর চাই,ক্ষমতায় যারাই আসবে তারা পাঁচ বছর শেষ হওয়া মাত্রই ক্ষমতা ছেড়ে দিবে,আবার নিরপক্ষ নির্বাচন হবে ,আবার যে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে সে আবার ক্ষমতায় আসবে,সেটাই নিয়ম ,যে জন্য 1990তে রাষ্ট্রপতি পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে,যদি দলীয় আমলাতান্ত্রিক সংসদীয় পদ্ধতি নিজের হাতে রেখেই জোর করে নির্বাচন হবে,তাইলে কি জন্য রাষ্ট্রপতি বাতিল করা হয়েছে,এবং সংবিধান সংশোধন করেছেন,সেটা কি জনগণের সাথে পতারনার সামিল নয়,জনগণ কে ধোঁকা বাজী দেওয়া নয়,এত এব সংবিধান সংশোধন করে রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি চালু করাই ভালো হবে,যেখানে সব কিছুর মূল্য থাকবে,জনগণ আবার সব কিছু পিরে পাবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রেসক্লাব সভাপতি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ