পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক
ভারত ও পাকিস্তানে জনপ্রিয় জাপানি কার্টুন ডোরেমন প্রদর্শন বন্ধের দাবি ওঠেছে। উভয় দেশের রাজনীতিবিদ ও অ্যাক্টিভিস্টরা এ দাবি তুলেছেন। তাদের দাবি, জাপানি কার্টুন ডোরেমন শিশুদের ভুলপথে পরিচালিত এবং দুর্নীতিগ্রস্ত করে তুলছে।
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, সামাজিকভাবে রক্ষণশীলরা কর্তৃপক্ষের কাছে ডোরেমন প্রদর্শন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, এ কার্টুন দেখার পর শিশুরা স্কুল ও বাসায় দুর্ব্যবহার করা শুরু করছে।
পাকিস্তানে ডোরেমন বিরোধী আন্দোলনের সূচনা করেছেন মালিক তৈমুর। তিনি পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফের একজন নেতা। তিনি বলেন, পাঞ্জাবের উচিত ২৪ ঘণ্টার কার্টুন চ্যানেল এবং ডোরেমন নিষিদ্ধ করা।
জাপানের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার প্রদেশ পাঞ্জাবের অ্যাসেম্বলিতে চলতি মাসের শেষের দিকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। আলোচনার জন্য প্রস্তাবিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, কার্টুনটিতে ব্যবহৃত ভাষা আমাদের (পাকিস্তান) সামাজিক সংস্কৃতি ধ্বংস করে দিচ্ছে।
প্রস্তাবনায় উর্দুর পরিবর্তে পাকিস্তানের দর্শকদের হিন্দি ভাষায় ভাষান্তরিত করায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, আমাদের শিশুরা নিজেদের অবচেতনেই হিন্দি শব্দ শিখছে, এতে করে আমাদের ভাষার শুদ্ধতা নষ্ট হচ্ছে এবং আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আগস্ট মাসে এ প্রস্তাবনার পর পিটিআইয়ের বেশ সমালোচনা করা হয়। টুইটারে অনেকেই ঘোষণা দেন, আমরা সবাই ডোরেমন।
ভারতে ডোরেমন কার্টুনটি বেশ জনপ্রিয় হলেও দেশটির বিখ্যাত সামাজিক আন্দোলনের কর্মী আশিষ চতুর্বেদি সরকার ও টেলিভিশন কর্তৃপক্ষের কাছে ডোরেমন কার্টুন প্রদর্শন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। তিনি জানান, ডোরেমন ও তার সঙ্গী নবিতা শিশুদের সামনে খারাপ উদাহরণ রাখছে। কার্টুনটি দেখে শিশুরা বাবা-মায়ের মুখের ওপর কথা বলা শুরু করেছে এবং স্কুলের হোমওয়ার্ক করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে।
চতুর্বেদি দাবি করেন, ২০১৩ সালে মধ্যপ্রদেশের একটি সরকারি নিয়োগ ও কলেজের পরীক্ষায় ডোরেমন ও নবিতার কৌশল অবলম্বনেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল। ডোরেমন-এর বিরুদ্ধে শিশুদের মাঝে খারাপ প্রভাব ফেলার অভিযোগ এই প্রথম নয়। ২০১৪ সালে চীনেও একই অভিযোগ ওঠে।
জাপানসহ বিশ্বের অনেক দেশেই জনপ্রিয় ডোরেমন কার্টুন। কার্টুনটি অ্যানিমেশন সংস্করণ ৩০টিরও বেশি ভাষায় রুপান্তরিত হয়েছে। কার্টুনটি নির্মাণ করেছেন ফুজিকো এফ ফুজিও। কার্টুনটির ডিভিডি এ পর্যন্ত প্রায় ১০০ মিলিয়ন কপি বিক্রি করেছে। ২০০২ সালে টাইম ম্যাগাজিন কার্টুনটিকে ‘এশিয়ার নায়ক’ হিসেবে নির্বাচন করে এবং ২০০৮ সালে কার্টুনটি ‘জাপানের সাংস্কৃতিক দূত’ হিসেবে নির্বাচিত হয়। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।