Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভারতের মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা

পাকিস্তান পার্লামেন্টে সর্বসম্মতভাবে কাশ্মীর-প্রস্তাব পাস

প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তান পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে প্রস্তাব পাস করে ‘কাশ্মীরর ভারতের অংশ’ ভারতীয় এমন অবস্থান খারিজ করে দেওয়া হল গতকাল শুক্রবার। পার্লামেন্টে গতকাল গৃহীত সর্বসম্মতভাবে গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, জাতিসংঘের এজেন্ডায় কাশ্মীর একটি ‘বিতর্কিত ভূখ-’। সুতরাং কাশ্মীর ভারতের, এই বক্তব্যের কোনও ভিত্তি নেই।
এই প্রস্তাবে কাশ্মীরসহ ভারতের সঙ্গে যাবতীয় বিরোধ মেটাতে ‘ফলদায়ক’ আলোচনার ওপরও গুরুত্ত্ব দেয়া হয়েছে। পাক পার্লামেন্ট আন্তর্জাতিক মহলকেও আবেদন করেছে, কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীগুলোর দ্বারা সংগঠিত ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন ব্যাপারে নিরপেক্ষ তদন্ত করার। গত বুধবার থেকেই পাক পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে ভারতের সঙ্গে চলতি সংঘাত-বিরোধ নিয়ে আলোচনা চলছে। সেখানে কাশ্মীর সংক্রান্ত প্রস্তাবটি পেশ করেন পাক প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সংক্রান্ত উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ। তাতে আবেদন করা হয়, কাশ্মীরে ভারতের নৃশংসতা বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক দুনিয়া তাদের ভূমিকা পালন করুক। পাশাপাশি কাশ্মীরের হুরিয়াত নেতা, মানবাধিকার কর্মীদের আটক, গৃহবন্দি করে রাখা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁদের ছেড়ে দিতে আবেদন করা হয় ভারত সরকারকে।
ভারতীয় বাহিনীকে দায়মুক্তি দেওয়ার জন্য চালু বিভিন্ন দানবীয় আইনের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে প্রস্তাবে। ভারত সরকারকেও অবিলম্বে লোকজনকে ‘ভীত-সন্ত্রস্ত করা’ বন্ধ করে আন্তর্জাতিক ও মানবাধিকার সংক্রান্ত আইন মেনে চলার ডাক দিয়েছে পাকিস্তান। নিন্দা করা হয়েছে ভারতের ক্রমাগত যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গেরও। প্রসঙ্গত, গত বুধবার পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে কাশ্মীরের নিহত হিজবুল বুরহান ওয়ানিকে কাশ্মীরের সাহসী পুত্র বলে অভিহিত করেন। তিনি আরো বলেন, চাষের জমিতে ট্যাঙ্ক নামিয়ে গরীবি হটানো যায় না।
পাক সীমান্তে ২০১৮ সালেই কাঁটাতার বসাবে ভারত
২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই ভারতের সব সীমান্ত কাঁটাতার দিয়ে সিল করে দেওয়া হবে। শুক্রবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এ তথ্য জানিয়েছেন। রাজস্থানের জয়সালমারে এক গুরুত্বপূর্ণ মিটিং শেষে রাজনাথ বলেন, ‘২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই সীমান্তকে পুরোপুরি সুরক্ষার আওতায় আনা হবে। আমরা এই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করে দিয়েছি।’
রাজনাথ আরও বলেন, ‘সীমান্তে প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হবে।’
এনডিটিভির বরাতে জানা গেছে, সাম্প্রতিক পাক-ভারত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পর রাজনাথ সিং সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে একে একে বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন। সর্বশেষ তিনি রাজস্থানে বৈঠক করেন। রাজস্থানে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের প্রায় ১ হাজার ৪৮ কিলোমিটার সীমান্ত সংযোগ রয়েছে। সূত্র: ডন, রেডিও পাকিস্তান, টাইমস অব ইন্ডিয়া।



 

Show all comments
  • ফাতেমা ৮ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:৫৬ পিএম says : 0
    ভারত সরকারকেও অবিলম্বে লোকজনকে ‘ভীত-সন্ত্রস্ত করা’ বন্ধ করে আন্তর্জাতিক ও মানবাধিকার সংক্রান্ত আইন মেনে চলতে হবে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারতের মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ