পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক ও বেফাক সভাপতি শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষানীতি বহাল করে স্কুল কলেজসহ সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থায় ধর্মহীনতা ও নাস্তিক্যবাদি ধ্যানধারণার শিক্ষা কায়েম করার পর কার্যতঃ এখন ইসলামী শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র কওমি মাদ্রাসাসমূহের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
গতকাল (শুক্রবার) ফেনী জেলার কওমি মাদ্রাসাসমূহের পরিচালক ও শিক্ষকদের নেতৃস্থানীয় ৩০ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল কওমি সনদের স্বীকৃতি প্রশ্নে বেফাক সভাপতি আল্লামা শাহ আহমদ শফীর গৃহীত অবস্থানের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন থাকার কথা জানাতে তার সাথে দেখা করতে আসলে তাদের উদ্দেশে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, দেখা যাচ্ছে, স্বাভাবিকভাবে কওমি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করা শিক্ষিত তরুণ আলেমদের প্রাপ্ত সনদের সরকারি মান থাকার একটা ন্যায্য অধিকারকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে কওমি আলেমদেরকে আদর্শচ্যুত করা, মাদ্রাসাসমূহের স্বাধীন শিক্ষাব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণ আরোপ এবং নানা বিভ্রান্তিকর প্ররোচণার মাধ্যমে বিভ্রান্ত করে প্রতিষ্ঠানসমূহের আভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বিনষ্ট ও আলেমদের মধ্যে বিভক্তি আনার নানা তৎপরতা চলছে। তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে দেশের আলেম সমাজের ঐক্যকে আরো জোরদার করার পাশাপাশি বিচক্ষণতার সাথে নীতি-আদর্শে অটল ও অবিচল থাকতে হবে। তাহলে ষড়যন্ত্রকারীরা কখনোই সফল হবে না।
কওমি মাদ্রাসার আভ্যন্তরিণ শৃঙ্খলা, শিক্ষকদের প্রতি ছাত্রদের গভীর আনুগত্য ও শ্রদ্ধাবোধ বিনষ্টের মাধ্যমেও বিশৃঙ্খলা তৈরীর চেষ্টা হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করে আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেন, কতিপয় দরবরি আলেমের অপতৎপরতা আমরা লক্ষ্য করছি। এ সম্পর্কে কওমি শিক্ষক-ছাত্র সকলকেই সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। তিনি বেফাক নিয়ে যে কোন ষড়যন্ত্র সম্পর্কেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা সরকারকে বেকাদায় ফেলার চেষ্টা করছে। আলেম সমাজ ও কওমি মাদ্রাসা নিয়ে যে কোন চক্রান্ত প্রতিহতে জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের পাশে থাকবে।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন মাওলানা আবুল কাসেম ভূঁইয়া, মাওলানা আফজালুর রহমান, মুফতী রহিমুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা স্য়াীদুর রহমান, মাওলানা শিব্বির আহমদ, মাওলানা আবুল কাসেম (লালপোল), মাওলানা ইউসুফ, মাওলানা আবুল কাসেম (হোসাইনিয়া), মাওলানা হুসাইন আহমদ, মাওলানা হুসাইন আহমদ উল্লাহ, মুফতী আবুল কাসেম (ঘাটঘর), মাওলানা নূরুল হুদা করীমপুরী, মাওলানা আব্দুল হাই, মাওলানা ওমর ফারুক, মাওলানা আব্দুল হান্নান, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, মাওলানা আনোয়ার হোসেন, মাওলানা শহীদুল্লাহ, মাওলানা ইকরাম, মাওলানা হারুন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।