পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাদারীপুরে স্ত্রী ও সন্তানরা মিলে খলিল শেখ নামে এক প্রবাসী ব্যক্তিকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করার ৫৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার খালিয়া ইউনিয়নের বৌলগ্রামে। নির্যাতনের শিকার খলিল শেখ ওই গ্রামের মৃত নুরুউদ্দিন শেখের ছেলে। এ ঘটনায় রাজৈর থানায় অভিযোগ করেছে খলিল শেখের ছোট ভাই তারা মিয়া শেখ।
এদিকে খলিল শেখের ছোট ভাই তারা মিয়া শেখ তার ভাইকে স্ত্রী ও সন্তানরা মিলে সম্পত্তি ভোগ করার জন্যে পাগল সাজিয়ে পাবনার মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করেছে বলে দাবি করেছেন। তবে খলিল শেখের স্ত্রী হায়াতুন বেগম তার স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি করেন। যে কারণে চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি করার দাবিও করেন।
ঘটনা সত্যতা জানতে বুধবার সকাল ১০টার দিকে খলিল শেখের বাড়ি গিয়ে জানা যায়, রাজৈর উপজেলার খালিয়া ইউনিয়নের বৌলগ্রাম এলাকায় ভাল মনের মানুষ হিসেবে পরিচিত প্রবাসী হাজী মো. খলিল শেখের সংসারে রয়েছে স্ত্রী হায়াতুন বেগম, দুই ছেলে নাজমুল শেখ ও আসিব শেখ, বড় মেয়ে রাবেয়া আক্তার ও ছোট মেয়ে মাহমুদা আক্তার। বিভিন্ন কারণে স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাদের উপর ক্ষিপ্ত খলিল শেখ তার সম্পত্তি আপন ভাই তারা মিয়াকে লিখে দিতে পারে। এমন আশঙ্কায় বাড়ির সবাই মিলে খলিলকে এ মাসের ১০ সেপ্টেম্বর জুম্মা নামাজের সময় ঘরের মধ্যে একটি রুমে আটকে হাত-পা বেঁধে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায়।
এদিকে খলিল শেখকে জোর-জবস্তি করে হা-পা বাঁধার একটি ভিডিও করে তার ভাতিজী ময়না আক্তার। এসময় খলিল শেখ অসহায়ের মতো আর্তনাদ করতে দেখা যায়। এঘটনার পর থেকে খলিল শেখকে আর বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
ময়না আক্তার বলেন, আমি বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন আমার বড় চাচা খলিল শেখের কান্না-কাটির শব্দ পাই। পরে জানলা দিয়ে দেখি তাকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করা হচ্ছে। পরে ভিডিওটি মোবাইলে তুলি। এরপর আমাদের বাড়ির অন্য লোকদের ডেনে আনার পরে আর চাচাকে দেখতে পাইনি।
এ ব্যাপারে নির্যাতনের শিকার খলিলের ছোট ভাই তারা মিয়া শেখ জানান, আমার ভাই পাগল না। গ্রামের সবার তাকে ভালো মানুষ হিসেবে চিনে-জানে। ভাইয়ের স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েরা মিলে তাকে পাগল সাজিয়ে হাত-পা বেঁধে কোথায় যেন নিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পাচ্ছি না। এই জন্য গত মঙ্গলবার রাজৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। পরে পুলিশ এসেও তার স্ত্রী-সন্তানদের সাথে কথা বলেছে। আমি আমার ভাইকে ফিরে পেতে চাই। তাকে যেন পাগল সাজিয়ে মেরে ফেলা না হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে খলিল শেখের স্ত্রী হায়াতুন বেগম বলেন, আমার স্বামী প্রায় তিন মাস ধরে পাগল। সে প্রায়ই বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে। তাকে বেঁধে প্রথমে ফরিদপুর এবং পরে পাবনার সুরমা মেন্টাল ক্লিনিক (প্রা:) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছি। সেখানে তার চিকিৎসা হবে। তবে আমার দেবর আর তাদের সন্তানরা মিলে আমার স্বামীর সম্পত্তি লিখে নেয়ার চেষ্টা করছে।
রাজৈর থানার ওসি মো. শেখ সাদিক জানান, খলিল শেখের ছোট ভাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। তবে খলিল শেখ কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে। আমিও পাবনার ওই হাসপাতালে চিকিৎসকের সাথে কথা বলেছি। তারপরেও বিষয়টি আরো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।