পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ-নেপাল জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটি (জেএসসি) আজ দেশ দু’টির মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে আরো সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এই কমিটির তৃতীয় বৈঠকে দুই দেশের বিদ্যুৎ খাতের মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের পক্ষে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রমান এবং নেপালের পক্ষে দেশটির বিদ্যুৎ, পানি সম্পদ ও সেচ সচিব দেবেন্দ্র কার্কি নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। জেএসসি সভায় নেপালে জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিপুল সম্ভাবনা এবং উভয় দেশের বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে ফলপ্রসু আলোচনা হয়।
উভয় দেশের মধ্যে ঋতু ভেদে বিদ্যুৎ চাহিদার তারতম্যের আলোকে পারস্পারিক বিদ্যুৎ বাণিজ্যের বিষয়টি সভায় আলোচনা করা করা হয়েছে। জেএসসি-তে নেপালে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিনিয়োগের সম্ভাবনার পাশাপাশি নেপালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের বিষয়টিতে স্থান পায়।
নেপাল সরকার সে দেশের সম্ভাব্য যে ৫টি জল বিদ্যুৎ প্রকল্প চিহ্নিত করেছে- তার কোনটিতে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের সুযোগ থাকবে, সে বিষয়ে নেপালের চলমান সমীক্ষার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
নেপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অর্থায়ন ও যৌথভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সম্ভাব্য প্রকল্প চিহ্নিতকরণ, উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ আমদানি-রপ্তানির পন্থা নির্ধারন ও আন্তঃদেশীয় বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সঞ্চলনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য উভয় দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত দুটি পৃথক যৌথ কারিগরি দল (জেনারেশন) এবং যৌথ কারিগরি দল (ট্রান্সমিশন) কাজ করছে।
তবে সঞ্চালন লাইন ভারতীয় ভূখন্ডের মধ্যে নির্মিত হবে। বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল এই ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে বিষয়টি নির্ধারণ করা হবে বলে সভায় মত প্রকাশ করা হয়।
বৈঠকে নেপাল বিদ্যমান ভারতীয় ভূখ-ের সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানির প্রস্তাব দিয়েছে। ভারতের জিএমআর গ্রুপ কর্তৃক নেপালে বাস্তবায়িতব্য ৯০০ মেগাওয়াট আপার কার্নালী জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানির অগ্রগতির বিষয়ে সভায় আলোচনা করা হয়।
সভায় বাংলাদেশ জানায় যে- বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, জিএমআর এবং এনভিভিএন এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও নেপালে নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্প্রসারণে দুই দেশের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও দক্ষতার বিষয়ে সহযোগিতা নিয়েও পর্যালোচনা করা হয়। উভয় দেশ বিদ্যুৎ খাতে স্বক্ষমতা তৈরিতে কার্যক্রম গ্রহণে একমত হয়েছে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-নেপাল জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-নেপাল জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ ও জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির দ্বিতীয় সভায় ২০১৯ সালের জুন মাসে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশ-নেপাল জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ ও জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির চতুর্থ সভা ২০২২ সালের মার্চ বা এপ্রিলে নেপালে অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্র: বাসস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।