পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘সুদবিহীন বিনিয়োগ’ আর ‘শরীয়াহ’র কথা বলে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করে এহসান গ্রুপ হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান এবং বিচারপতি মো.জাকির হোসেনের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। ‘মাইক্রো ক্রেডিট’ বা ক্ষুদ্র ঋণের নামে এহসান গ্রুপের হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে রিট করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। বিষয়টির ওপর শুনানিকালে আদালত তার কাছে (ব্যারিস্টার সুমন) এহসান গ্রুপের অর্থ আত্মসাৎ সংক্রান্ত যত তথ্য আছে তা সরবরাহ করার নির্দেশ দেন। রিটের পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেন ২০ সেপ্টেম্বর।
ব্যারিস্টার সুমন এহসান গ্রুপের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পোর্টালের প্রতিবেদন তুলে ধরেন। তিনি দেশে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী ৭৫৮টি প্রতিষ্ঠান আছে বলে জানান আদালতকে। এসময় আদালত জানতে চান, কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম বলেন যাদের নিবন্ধন নেই। তখন সুমন বলেন, আমি প্রতিষ্ঠানের নাম বলতে চাচ্ছি না। তবে আমরা খোঁজ নিতে চাই, কতগুলো প্রতিষ্ঠান গরিব-অসহায় মানুষের সর্বনাশের সঙ্গে জড়িত। পিরোজপুরভিত্তিক ‘এহসান গ্রুপ’র চেয়ারম্যান রাগীব আহসানকে নিয়ে এসময় আদালত বলেন, শরীয়াহ ও সুদবিহীন বিনিয়োগের কথা বলে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এহসান গ্রুপ। তারা শরীয়াহ ও ইসলামের কথা বলে এসব করেছে।
এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর মাইক্রোক্রেডিটের নামে সুদব্যবস্থা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়। রিট আবেদনে সারাদেশের সুদ ব্যবসায়ীদের তালিকা চাওয়া হয়। রিটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ৬৪ জেলার ডিসি ও এসপিকে বিবাদী করা হয়।
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে জনস্বার্থে গত ৭ সেপ্টেম্ব হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ রিট করেন। এ আইনজীবী জানান, দেশের প্রত্যেক গ্রাম ও মহল্লায় সমবায় সমিতিসহ বিভিন্ন নামে সুদের লেনদেন চলছে। অনেকে ব্যক্তিগতভাবে ঋণের নামে উচ্চহারে সুদ নিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। তাদের কোনো নিবন্ধন নেই। গরিব-অসহায় মানুষ সুদ কারবারিদের কাছে জিম্মি। তাদের সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে আদায় করা সুদের পরিমাণও গরিব মানুষের কাছে খুব বেশি।
সুমন বলেন, এদের নেটওয়ার্ক যদি ভেঙে দেয়া যায়, তাহলে দাদন কারবারিদের সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া কোনো বিষয় নয়। এজন্য ডিসি-এসপি তালিকা তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন। এটা যদি কোনোভাবে ভেঙে দেয়া যায় তাহলে দেখবেন অনেক মানুষ বেঁচে যাবে। তিনি জানান, বাংলাদেশে ৮৪টি মাইক্রোক্রেডিটের অথরিটি লাইসেন্স রয়েভে। অথচ হাজার হাজার মানুষ সুদের কারবার করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এটা নিয়ে কোনোভাবে নাড়াচাড়া করে তাহলেই হবে। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার চাইলে এই নেটওয়ার্ক ভেঙে দেয়া সম্ভব।
সুমন বলেন, দাদন ব্যবসায়ীদের নেটওয়ার্ক ভাঙতে কাউকে গুলি করতে হবে না। বড় কোনো অভিযান চালাতে হবে না। শুধু কারা এ দাদন কারবারের সঙ্গে জড়িত তাদের তালিকা করলেই হবে। সফলতার মাত্রায় আমরা আরেকটা জিনিস যোগ করতে চাই, শপথ নিতে চাই, দাদন কারবার নিয়ন্ত্রণে। তবেই এ দেশে সোনার বাংলা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।