পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
স্বাস্থ্যসেবায় বিশ্বব্যাপী নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাবোট সম্প্রতি সার্স-কোভ-২ (SARS-CoV-2) ভাইরাস সনাক্ত করার জন্য প্যানবায়ো™ (PanbioTM) কোভিড-১৯ অ্যান্টিজেন র্যাপিড টেস্ট ডিভাইস নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশে লক্ষাধিক টেস্ট কিট পৌঁছে দিতে সক্ষম এই প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে এই র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট সারা দেশের শীর্ষস্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং ল্যাবগুলিতে পৌঁছে দিয়েছে।
র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের দ্বারা ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত। সহজে বহনযোগ্য ও সহজ ব্যবহারবিধি সম্পন্ন প্যানবায়ো™ কোভিড-১৯ অ্যান্টিজেন র্যাপিড টেস্ট ডিভাইস-টি খুবই দ্রুত ফলাফল প্রদান করে। অতিরিক্ত কোন যন্ত্রের সাহায্য ছাড়াই এই টেস্ট এর মাধ্যমে ১৫ মিনিটের মধ্যে ফলাফল পাওয়া সম্ভব। এছাড়া যে সকল স্থানে ল্যাবরেটরি-ভিত্তিক যন্ত্রপাতি সহজলভ্য নয় সেখানেও এই ডিভাইসটি অনায়াসে ব্যবহার করা যাবে। সাশ্রয়ী ও দ্রুত ফলাফল পাওয়ার সুবিধার জন্য এই কিট দিয়ে প্রয়োজনে একাধিকবার পরীক্ষা করা যাবে।
বাংলাদেশে অ্যাবোট-এর র্যাপিড ডায়াগনস্টিক বিজনেসের কান্ট্রি ম্যানেজার তানবীর আশরাফ ভূঁইয়া বলেন, “র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট দিয়ে দ্রুত ফলাফল পাওয়ার ফলে সংক্রমিত মানুষদের দ্রুত সনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় যা পক্ষান্তরে ভাইরাসের বিস্তার ধীর করতেও সাহায্য করে।” তাঁর মতে, “অ্যাবোট এমন একটি শক্তিশালী সমাধান নিয়ে এসেছে যা এরূপ গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার দ্রুত ফলাফল দিতে সক্ষম। এই সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য ডিভাইসটি বাংলাদেশে নিয়ে আসতে প্রতিষ্ঠানটি সবসময়ই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলো।”
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাবিদ এবং বাংলাদেশের ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, “র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করোনা উপসর্গের রোগীদের উপর ভালো কাজ করে। আর তাই রোগীদের লক্ষণ শুরুর ১ সপ্তাহের মধ্যে ঘন ঘন টেস্ট করার প্রয়োজনে এই কিট অনেক সহায়ক।” তিনি আরও বলেন, “যেসকল অঞ্চলে সংক্রমণের মাত্রা অনেক বেশি, সেখানে এই পয়েন্ট-অব-কেয়ার র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ডিভাইস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”
বিখ্যাত ইমিউনোলজিস্ট, বারডেম জেনারেল হাসপাতাল-এর ল্যাবরেটরি সায়েন্স বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা: এম শওকত হাসান বলেন, “যখন স্ট্যান্ডার্ড এনএএটিএস (নিউক্লিক এসিড অ্যামপ্লিফিকেশন টেস্ট) সহজলভ্য থাকেনা, কিংবা যে সময়ে টেস্টের ফলাফলের জন্য ২-৩ দিন বিলম্ব করতে হয়, তখন র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করোনা উপসর্গের রোগীদের জন্য একটি গ্রহণযোগ্য বিকল্প হতে পারে। দ্রুত ফলাফল পাওয়া এই ডিভাইসের সবচেয়ে বড় সুবিধা এবং রোগী উপস্থিত থাকাকালেই ফলাফল পাওয়া যায় বলে এটি ডাক্তারদের রোগীর চিকিৎসা-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত দ্রুত নিতেও সাহায্য করে।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।