পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এক বছর পর আগামী নভেম্বর মাসের শেষের দিকে হতে যাচ্ছে জেলা প্রশাসক সম্মেলন। গতকাল রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তারিখ ও সময় চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
গত বছর জুলাই মাসে ডিসি সম্মেলন অনষ্ঠিত হয়নি। করোনা মহামারির কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ডিসি সম্মেলন স্থগিত করা হয়। বর্তমানে দেশে করোনা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হওয়ায় আবারো ডিসি সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এছাড়া নতুন করে হালনাগাদ তথ্য চেয়ে ডিসিদের আজ সোমবার চিঠি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। একাধিক ডিসির সঙ্গে কথা বললে তারা সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইনকিলাবকে বলেন, করোনার কারণে ডিসি সম্মেলন হয়নি। এ জন্য নতুন করে আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এবছরের শুরুতেও ডিসি সম্মেলন না হওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। তাই এসংক্রান্ত বিষয়ে খুব একটা প্রস্তুতি ছিল না। এখন পুরো দমে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবছর জেলা প্রশাসকদের সম্মেলন একটি রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছর করোনার কারণে যথাসময়ে সম্মেলন হয়নি। এবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি শুরু করেছে আগামী নভেম্বর মাসের শেষে ডিসি সম্মেলন আয়োজনের।
করোনার দ্বিতীয় ওয়েবের আশঙ্কায় গত বছর ডিসেম্বরেও সম্মেলন না করার সিদ্ধান্ত হয়। পরে মন্ত্রিপরিষদ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার আগ্রহে গত জানুয়ারিতে সম্মেলন আয়োজন করার প্রস্তুতি শুরু করে। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ওয়েবের আশঙ্কায় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি নিয়ে সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করার মধ্যেই তা আবার স্থগিত করা হয়।
মাঠ প্রশাসনে নেতৃত্বদানকারী ৬৪ জেলার ডিসি, ৮০ জনের মতো সচিব, ৮ বিভাগীয় কমিশনার এবং সব মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীরা ডিসি সম্মেলনে অংশ নিয়ে থাকেন। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ডিসিদের বিশেষ সাক্ষাৎ ও অধিবেশনের সুযোগ থাকে। তিন থেকে পাঁচ দিনের এই সম্মেলন সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবছর জুলাই মাসে ডিসি সম্মেলন হয়ে থাকে। গত বছর করোনার কারণে জুলাই মাসে তা অনুষ্ঠিত হয়নি। ডিসি সম্মেলনে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারকদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রস্তাব, আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় সব জেলার ডিসিরা প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা বৈঠক করেন সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা কক্ষে। এসব বৈঠকে ৫৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মন্ত্রী ও সচিবরা পর্যায়ক্রমে উপস্থিত থাকেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো এবং ডিসিরা বিদ্যমান কার্যক্রমের বিষয়ে কী ধরনের সমস্যা বা সুবিধা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আরো কী করা যায়, সেসব বিষয়ে দুই পক্ষের মতামত নিয়ে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ দিনব্যাপী জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সম্মেলন আগামী নভেম্বরের শেষের দিকে শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা ১৮টি কার্য অধিবেশনে ডিসিদের সঙ্গে মতবিনিময় করে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবেন। সম্মেলনে আলোচনার জন্য ৩৫০টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে গত বছরের অনেক প্রস্তাব বাদ দিয়ে নতুন করে আবারো চাওয়া হয়েছে। নতুন প্রস্তাব আসার পরে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে অনেক প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ, নদী দখল রোধ, বাঁধ ভাঙন, গরিব মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেয়া, ভিক্ষুকদের বাড়ি দেওয়া, পরিবেশ রক্ষা, পাহাড়ধসসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচন সিটি করপোরেশনসহ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গও আলোচনায় আসতে পারে। সম্মেলনের শেষ দিনে প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে নৈশভোজে যোগ দেন ডিসিরা। গত সম্মেলন থেকে জাতীয় সংসদের স্পিকার, দেশের প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও সৌজন্য বৈঠক করেন ডিসিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।