Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরকারি হাসপাতালে রোগ নির্ণয় যন্ত্র পড়ে থাকার ঘটনা তদন্তে নির্দেশ

হাইকোর্টের স্যুয়োমোটো রুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

সরকার মালিকানাধীন ১৬টি হাসপাতালে ২৮টি রোগ নির্ণয় যন্ত্র অকেজো থাকার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে সংক্রান্ত জারিকৃত রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, হাসপাতালগুলোর পরিচালকসহ ২১ জন এ রুলের জবাব দেবেন।
গতকাল রোববার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানিতে ব্যারিস্টার মনোজ কুমার ভৌমিক। তিনি বলেন, এসব হাসপাতালে এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি ও ভেন্টিলেটর যন্ত্র পড়ে আছে। পড়ে থেকে কোনো কোনো যন্ত্র ইতোমধ্যে বিকলও হয়ে গেছে। কোনোটি নষ্ট হওয়ার উপক্রম। বেশির ভাগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই বলছে, যন্ত্র অব্যবহৃত থাকার প্রধান কারণ সংশ্লিষ্ট লোকবলের অভাব। আবার কোথাও কারিগরি সহায়তার অভাবে যন্ত্র বসানো যায়নি।
এর আগে ‘অবহেলায় পড়ে আছে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের অত্যাধুনিক আর্টিফিশিয়াল রেসপিরেটরি ভেন্টিলেটরি’ শিরোনামে একটি ইংরেজি দৈনিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদন আদালত নজরে নিয়ে এই আদেশ দেন। ওই প্রতিবেদনটি আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক ও এম এমদাদুল হক নজরে আনলে আদালত তা আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেন। আদালত তার আদেশে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) জন্য ক্রয় করা অত্যাধুনিক আর্টিফিশিয়াল রেসপিরেটরি ভেন্টিলেটর দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখার ঘটনা কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সদ্য অবসরে যাওয়া প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ড. মোয়াররফ হোসেনের অবসরকালীন পেনশন সুবিধা স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। এছাড়াও হাসপাতালের ক্রয়কৃত আইসিইউ অত্যাধুনিক আর্টিফিশিয়াল রেসপিরেটরি ভেন্টিলেটর দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখার ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাইকোর্টের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ