পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছালাহউদ্দিন, আরব আমিরাত থেকে : দুবাইয়ের যাত্রীর ফেলে যাওয়া ২৫ কেজি স্বর্ণ ফেরত দিয়ে সততা ও উদারতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দেশের সুনাম বয়ে এসেছেন বাংলাদেশি ট্যাক্সি চালক লিটন চন্দ্র নাথ পাল নেপাল (৩১)। এতে স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন সততার সম্মাননা সার্টিফিকেট। শিরোনাম হয়েছে দেশটির প্রভাবশালী পত্রিকাগুলোতেও। জানা গেছে, ঘটনার রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪ যাত্রীকে নিয়ে দুবাইয়ের ডেরা মুরাক্কাবাত এলাকায় নামিয়ে চলে যান লিটন। তিনি জানতেন না যাত্রীর ফেলে যাওয়া ২৫ কেজি স্বর্ণ সম্পর্কে। যাত্রী নামিয়ে যাওয়ার ৪০ মিনিট পর তার কোম্পানি, রোড ট্রান্সপোর্ট অর্থোরিটি (আরটিএ) এর কাস্টমার সার্ভিস থেকে ফোন আসে তার ট্যাক্সিতে কোন যাত্রীর ব্যাগ আছে কিনা জানতে চায় পুলিশ। উত্তরে লিটন চন্দ্র বলেন চেক করে দেখছি আছে কিনা। পরে গাড়িতে তিনি গ্রে কালারের একটি, ব্যাগ দেখতে পান। যার ভেতর, রাখা ছিল স্বর্ণের বারগুলো। অবাক হল লিটন। এরপর আরটিএ কর্তৃপক্ষকে জানান এবং ব্যাগটি জমা দেন। কর্তৃপক্ষ ওজন দিয়ে দেখতে পান তাতে ২৫ কেজি স্বর্ণ রয়েছে। পরে কর্তৃপক্ষ পুলিশের মাধ্যমে স্বর্ণের মালিক (যাত্রী) লিবিয়ার নাগরিককে তা ফেরত দিয়ে দেন। এদিকে স্বর্ণের মালিক লিটন চন্দ্রকে শুধু ধন্যবাদ দিয়ে বিদায় নিলেও রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (আরটিএ) এর নির্বাহী প্রধান ডা. ইউসুফ আল আলী ১ হাজার দেরহাম পুরস্কৃত করেন এবং এক বছরের জন্য আবাসন ফি ফ্রি করে দেন। অপরদিকে রেল যোগাযোগের প্রধান নির্বাহী আবদুল মোসাইন ইব্রাহিম ইউনুস পুরস্কৃত করেছেন ৫ হাজার দেরহাম এবং আরটিএ এর পক্ষ থেকে তাকে প্রদান করা হয় সম্মাননা সার্টিফিকেট। ২০১০ সাল থেকে দুবাইয়ে রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (আরটিএ) এর সাথে যুক্ত রয়েছেন লিটন চন্দ্র নাথ। তিনি মিডিয়াকে জানান, এ ঘটনার খবর শুনে তার মা ও তিন বোন খুবই আনন্দিত হয়েছেন এবং তার মা তার জন্য দোয়া করেছেন। বলেছেন তাকে এবং দেশকে গর্বিত করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।