Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিভীষিকাময় ৯/১১ হামলার ২০ বছর : যা লিখছেন নেটিজেনরা

শাহেদ নুর | প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৬:৪৬ পিএম

বিভীষিকাময় ৯/১১ হামলার ২০ বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০০১ সালের এ দিনে আত্মঘাতী বিমান হামলা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ার ধ্বংস করা হয়। হামলায় নিহত হয় প্রায় ৩ হাজার মানুষ। আল-কায়দা এ হামলা চালিয়েছে দাবি করে এরপর থেকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট।

ভয়াবহ ওই হামলা ও তার পরবর্তী মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অভিযান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা কথা লিখছেন নেটিজেনরা।

এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ ফেইসবুকে লিখেন, ‘হিস্টোরি রিপিটস- তালিবান সরকার সেটা প্রমাণ করে দিলো ৯/১১ তাদের শপথের সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে। অথচ এই ৯/১১ এ টুইন টাওয়ারে বোমা হামলার অপ্রমাণিত অভিযোগে আফগানিস্তান আক্রমণ করে আমেরিকা এবং তালিবান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। আল কায়েদা নেটওয়ার্ক এবং ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে। হাজার হাজার নিরীহ আফগানকে হত্যা করে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ টার্মস ব্যবহার করে একের পর মুসলিম দেশে হামলা করা হয়। ৯/১১ এর ২০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র ক্ষমতাচ্যুত সেই তালিবানদের নিজে হাতে ধরে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়েছে। বলা ভাল, বসিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। এই তালিবানরা আরো শক্তিশালী, আরো সংহত, ক্ষমতাধর, আরো পরিণত। এবারে সমগ্র আফগানিস্তানকে যেভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে তারা, সেভাবে পূর্বে পারেনি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, তার কি অর্জন? ২০ বছরেও নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করতে পারেনি ৯/১১ হামলাকারী তালিবান বা আল কায়েদা! বরং বিভিন্ন গবেষণা উল্টোটাই বলছে। এই তালিবানরা আজো স্বীকার করেনি ৯/১১ এর হামলাকারীদের সাথে তাদের বা আল কায়েদার কোনো সম্পর্ক ছিলো। এমনকি ওসামা বিন লাদেনের সাথে ঐ হামলাকারীদের কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতার কথাও তারা স্বীকার করে না। ৯/১১ এর দিনে ক্ষমতা গ্রহণের সিদ্ধান্ত এ বার্তাই দেয়। এবারের ৯/১১ যুক্তরাষ্ট্র যখন নিহতদের সমাধিতে ফুল বিছিয়ে শোক প্রকাশ করবে তালিবরা তখন কাবুল প্রসাদের লাল গালিচা মাড়িয়ে ক্ষমতার শপথ গ্রহণ করবে। এটা এমন একটা সিদ্ধান্ত যা মার্কিন মাইটির মুখে পুরোনো চটি দিয়ে শপাৎ শপাৎ চপেটাঘাত করবে।’

সাইদুর রহমান লিখেন, ‘৯/১১ ঘটনার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের অজান্তেই একটা কাজ করেছে,সেটা হচ্ছে তাদের এই সাজানো ঘটনার জের ধরে বিশ্ব মুসলিমদের মধ্যে মারাত্মক সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে, এই ৯/১১ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের নিজেদের অজান্তেই বিশ্বব্যাপী ইসলামি খেলাফতের রাস্তা তৈরী করে দিয়েছে, ইনশাআল্লাহ এখন বিশ্ব মুসলিমরা খেলাফত কায়েমে অনেকটা এগিয়েছে, সামনের দিনগুলোতে আরো এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।’

রবিউল হাসানের মন্তব্য, ‘ব্যাপারটা এমন হয়েছে যে, ঘরের শত্রু বিভীষণের মতো নিজেদের মধ্যে কেউ করছে। কিন্তু অন্যের উপরের দোষ দিয়েছে।’

ঘটনাটিকে আমেরিকার সব সাজানো নাটক হিসেবে অভিহিত করে নাজমুল উকিল লিখেন, ‘৯/১১ ছিল আমেরিকার সব সাজানো নাটক। এই নাটকের মাধ্যমে আমেরিকা সারা পৃথিবীতে দখলদারিত্ব বজায় রেখেছে এবং খনিজ সম্পদ লুটপাট করেছে। সন্ত্রাস তৈরি কারখানা হচ্ছে আমেরিকা। এখন ইরানের সন্ত্রাসের নাম করে আমেরিকা কিভাবে রাজত্ব কায়েম করেছে অন্য দেশের উপরে।’

এস এম আলিম আল রাজি লিখেন, ‘আমেরিকা এবং পশ্চিমা বিশ্ব কখনোই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নি। কারণ ওরাই সন্ত্রাসের লালন-পালনকারী! ওরা মিথ্যা সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধের নামে লক্ষ লক্ষ নিরপরাধ মুসলমানকে হত্যা করেছে, সম্পদ লুটপাট করেছে।’

আবু বকর সিদ্দিক লিখেন, ‘এটা যদিও খুবই ভয়াবহ, দুঃখজনক ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা ছিলো। তবে মুসলিম বিশ্ব এখনো এটাকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত ও সাজানো ঘটনা মনে করে। যা নির্বিচারে মুসলিম গণহত্যার জন্য ও সমাজে আজীবন মুসলমানদের হেয় প্রতিপন্ন করতে করা হয়েছে বলে ধরা হয়।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিভীষিকাময় ৯/১১
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ