পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : ঢাকাস্থ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়েদুন বলেছেন, গুলশানই প্রকৃত বাংলাদেশের চিত্র নয়। ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার পর ওই এলাকাকে নিরাপদ করার জন্য সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে তা প্রশংসনীয়। তবে শুধু গুলশানকে নিরাপদ করলে কিংবা ওই এলাকার মানুষকে নিরাপদ করলেই হবে না। গুলশানের আদলে গোটা বাংলাদেশকে এবং দেশের ১৬০ মিলিয়ন লোককে নিরাপদ করতে হবে। গুলশান হামলার পর বাংলাদেশকে নিরাপদ করতে এবং তা ধরে রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তথা সরকারের বিভিন্নমুখী উদ্যোগে সমর্থন ও সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এগিয়ে এসেছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, নিরাপত্তার জন্য স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন উদ্যোগ চলমান রয়েছে। নিñিদ্র নিরাপত্তার লক্ষে (টার্গেট) বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়সহ সবার সহযোগিতায় যেসব উদ্যোগ নিয়েছে তা পূরণ সময়সাপেক্ষ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় তিনি ইইউ’র সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক, ব্রেক্সিট সিদ্ধান্তের পর ইইউ’র অবস্থানসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিস (বিস) আয়োজিত কান্ট্রি লেকচারে ইইউ রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশ-ইইউ রিলেশন্স : এ মাল্টি ফ্যাসিটেড পার্টনারশিপ’ শীর্ষক নির্ধারিত বক্তৃতায় ইইউ দূত বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যকার বিদ্যমান কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক, আগামীর সম্ভাবনা ও পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। বিস’র চেয়ারম্যান মুন্সী ফয়েজ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আব্দুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, সাবেক রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গবেষক, শিক্ষাবিদ, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন রাষ্ট্রদূত মায়াদুন।
এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, ইইউ থেকে যুক্তরাজ্য (বেক্সিট) বের হয়ে যাওয়ার পর ভিন্ন কোনো ব্যবস্থা না থাকলে বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা নাও পেতে পারে। ভিন্ন ব্যবস্থা নিয়ে বাংলাদেশ চিন্তা-ভাবনা করছে এবং ভবিষ্যৎ বাণিজ্যিক ব্যবস্থা কি হবে সেটি নিয়ে আলোচনা চলছে। কারণ ইইউ বাজারে জার্মানির পরে যুক্তরাজ্যের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সবচেয়ে বেশি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, গত জুনে এক গণভোটে যুক্তরাজ্যের জনগণ ইইউ থেকে বের হয়ে যাবার পক্ষে রায় দেন। বেক্সিটের স্বল্পমেয়াদি তেমন কোনো প্রভাব না পড়লেও দীর্ঘমেয়াদে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বেক্সিটের কারণে বাংলাদেশকে দেয়া ইইউ’র সহায়তায়ও প্রভাব পড়বে। বর্তমানে ২৮টি দেশভুক্ত ইইউ থেকে বাংলাদেশ বছরে ৫০ কোটি ইউরো সহায়তা পেয়ে থাকে। ইইউ থেকে ব্রিটেন বের হয়ে গেলে এই সহায়তার পরিমাণও কমে আসবে।
ইইউ’র জন্য বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ মন্তব্য করে মায়াদুন বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করার সরকারের লক্ষ্য পূরণে ইইউ সহায়তা দিচ্ছে। তবে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হলে ইইউ’র বাজারে ইবিএ’র (অস্ত্র ছাড়া সবকিছু) আওতায় শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা হারাবে। কেননা এই সুবিধা কেবল এলডিসিভুক্ত দেশগুলোকেই দেয়া হয়। আর এলডিসি’র মধ্যে বাংলাদেশ বর্তমানে এই সুবিধার সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করতে পারছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হলে ইইউ’র বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখতে ‘জিএসপি প্লাস’-এর যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। আর এ যোগ্যতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশকে মানবাধিকার, শ্রম অধিকার, পরিবেশ ও সুশাসন সংক্রান্ত জাতিসংঘের ২৭ সনদ সই, অনুস্বাক্ষর ও বাস্তবায়ন করতে হবে। কোনো স্বল্পোন্নত দেশই (এলডিসি) এখন পর্যন্ত এই যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি।
তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ আমাদের মতামত দেয়ার জন্য কিছু দিন আগে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। বাংলাদেশের রফতানি প্রক্রিয়াকরন অঞ্চলের (ইপিজেড) জন্য প্রণীত খসড়া আইনের সাথে শ্রম বিষয়ক আন্তর্জাতিক সনদের অসামঞ্জস্যতার বিষয়টি আমরা তুলে ধরেছি। এটা সংশোধন হওয়া প্রয়োজন।
রানা প্লাজা ভবন ধ্বসের পর ইইউ বাংলাদেশকে দেয়া ইবিএ সুবিধা প্রত্যাহার করার চিন্তা-ভাবনা করেছিল উল্লেখ করে মায়াদুন বলেন, তবে শ্রমিকদের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে এই ধরনের সিদ্ধান্ত থেকে ইইউ বিরত থাকে।
বিকল্প হিসাবে শ্রম অধিকার ও কারখানা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), তৈরি পোশাকের ক্রেতা ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়, যা কমপ্যাক্ট হিসাবে পরিচিত। কিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও কমপ্যাক্টের আওতায় বাংলাদেশের শ্রম মানের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন ও সন্ত্রাসবাদকে বাংলাদেশ এবং ইইউ উভয়ের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসাবে আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে ইইউ। সন্ত্রাস দমনের পাশাপাশি চরমপন্থার বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে। ইইউও একই বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছে।
অভিবাসন বিষয়ে তিনি বলেন, ইইউতে অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানিদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। কিছু বাংলাদেশীও সেখানে অবৈধভাবে বসবাস করছে। তবে বাংলাদেশ সরকার তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সহযোগিতা করছে। সমুদ্র অর্থনীতি ও মহাকাশে উপগ্রহ স্থাপনের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের সাথে ইইউ’র সহযোগিতা রয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
মায়াদুন বলেন, গতকাল বুধবার ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হকের এক আলোচনা সভায় অনেক রাষ্ট্রদূত অংশগ্রহণ করেছেন এবং তারা নিরাপত্তা অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানান।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আয়োজিত ‘লাইফ অ্যান্ড বিজনেস অ্যাজ ইজুয়্যাল’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা সরকারকে নিরাপত্তা পদক্ষেপের মান বৃদ্ধির তাগিদ দেন। গুলশানে ডিএনসিসির নতুন ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার; বিদেশি ক্রেতা সংস্থার প্রতিনিধি; শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা; গুলশান, বারিধারা, বনানী ও নিকেতন সোসাইটির প্রতিনিধি এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা আলোচনা সভার যে অংশে বক্তব্য দেন, তাতে সাংবাদিকদের থাকতে দেয়া হয়নি। শেষ বক্তা হিসেবে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত ইয়োহান ফ্রিশেল বক্তব্য দেয়ার সময় সভাস্থলে সাংবাদিকদের ঢোকার অনুমতি দেয়া হয়। সভা শেষে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সভার পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, মেয়র ও ডিএমপি কমিশনার।
মার্শা বার্নিকাট বলেন, গুলশানে হামলার পর কম-বেশি ১০০ দিন হয়ে গেছে। নিরাপত্তা বাহিনী অসাধারণ কাজ করেছে, তারপরও হুমকি নেই তা শতভাগ বলা যাবে না। এখন পর্যন্ত সরকার যা করেছে তাতে আমরা কৃতজ্ঞ, কিন্তু সন্তুষ্ট বলব না। সন্তুষ্ট হলেই নমনীয়তা চলে আসবে, যা ভয়ংকর হতে পারে।
সভায় সুইডেনের রাষ্ট্রদূত ইয়োহান ফ্রিশেল বলেন, বিভিন্ন হাইকমিশন, দূতাবাস বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। কারণ বিদেশিরা সন্ত্রাসীদের হামলার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য। পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে, কিন্তু আমরা কোন ধরনের হুমকির সম্মুখীন হচ্ছি, সেটা নিশ্চিত না। আমরা কোনো ঝুঁকি নিতে পারি না। আমরা যে হুমকি দেখেছি, তা শুধু বিদেশিদের জন্য নয়, পুরো বাংলাদেশের জন্য। আমাদের সম্মিলিতভাবে এটার সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।
ইতালীয় রাষ্ট্রদূত মারিও পালমা বলেন, হামলার ১০ দিন পরেও ইতালীয় নাগরিক বাংলাদেশে এসেছেন। এখানে আসা ইতালির ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে বুঝেছি, পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতি এখনো অস্থিতিশীল এমন অনুভূতি রয়ে গেছে। অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, কিন্তু সেগুলোর মান ও পেশাদারি আরও বাড়ানো প্রয়োজন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, বিদেশিরা মানসম্মত নিরাপত্তা চাইছেন। তাঁরা নিরাপত্তাকর্মীদের ব্যবহৃত অস্ত্র, গাড়ি আরও আধুনিক ও স্মার্ট করার কথা বলেছেন।
মেয়র আনিসুল হক বলেন, গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলার পর বিদেশিরা ভিত হয়ে পড়েছিলেন। অনেকে দেশ ছেড়েছিলেন। তিন মাস পরে বিদেশিরা বলছেন, তাঁদের ভয় অনেকখানি কেটে গেছে। তবে ভয়ের অনুভূতি আছে, তা আরও কমাতে হবে। এই অনুভূতি কাটাতে ছয় মাস, নয় মাস কিংবা এক বছর সময় লাগবে।
জঙ্গিরা এখন আতঙ্কিত ফিরে আসছে স্বাভাবিক জীবনে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পাবনা জেলা ও বেড়া উপজেলা সংবাদদাতা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেছেন, দেশে এখনও জঙ্গি আছে। তবে তা খুবই সীমিত আকারে। জঙ্গিরা এখন আতঙ্কিত-শংকিত হয়ে পড়েছে। তারা এখন আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছে। তিনি বলেন, গত বুধবার বগুড়ায় ‘হিজরতে’ বের হওয়া এমন দুই জঙ্গি আত্মসমর্পণ করেছে। পলাতক জঙ্গিসহ সবকিছুই এখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এবং নজরদারিতে রয়েছে। জঙ্গিরা এখন আর হঠাৎ করেই কোনো ধরনের নাশকতা, হত্যাকা-, হামলা বা অপরাধমূলক নাশকতা করতে পারবে না। এমন শক্তি বা ক্ষমতা তাদের আর নেই। দেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। তারা সন্ত্রাসীদের পছন্দ করে না। সাধারণ শান্তিপ্রিয় মানুষ তাদের কোন আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় না। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে মানুষ যেভাবে এগিয়ে এসেছেন তা স্বাধীনতাকালে সময়ের মতো।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে ৫ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পাবনার বেড়ায় নবনির্মিত ‘বেড়া মডেল থানা’ ভবন উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সিলেটের খাদিজার উপর হামলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা অপরাধ করে তারা সবাই অপরাধী। তাই অপরাধী ছাত্রলীগ হোক, যুবলীগ হোক বা যে দলেরই হোক বা যত প্রভাবশালী-শক্তিশালী হোক না কেন প্রধানমন্ত্রী কাউকে ছাড় দেন না। খাদিজার উপর হামলায় দেশবাসী বিস্মিত হয়েছে। যে অপরাধী সে অপরাধ স্বীকার করেছে। তার বিচার যাতে দ্রুত হয় সে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর আগে তিনি বেড়া মডেল থানার নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন, থানা চত্বরে বৃক্ষরোপণ করেন।
পাবনার পুলিশ সুপার আলমগীর কবিরের সভাপতিত্বে সমাবেশে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. আলহাজ শামসুল হক টুকু এমপি, ভারপ্রাপ্ত আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এম খুরশিদ হোসেন, র্যাব ১২ কমান্ডার মো: শাহাবুদ্দিন, পাবনার জেলা প্রশাসক রেখা রানী, পাবনা পুলিশের অপরাপর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ওসি, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ খালেকুজ্জামান চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
পরে মন্ত্রী বেড়া পৌরসভার হলরুমে নাগরিক সমাজ আয়োজিত জঙ্গি ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের ভূমিকা শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। পাবনার জেলা প্রশাসক রেখা রানীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বেড়া পৌরসভার মেয়র ও মিউনিসিপ্যাল আসোসিয়েশান অব বাংলাদেশ (ম্যাব) সভাপতি আলহাজ আব্দুল বাতেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।