পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন নিম্ন আয়ের মানুষদেরকে স্বল্পসুদে ঋণ দিতে পার্টনারশিপ ব্যাংকিংয়ের অংশ হিসেবে আারও ২২ স্থানে কার্যক্রম শুরু করলো এনআরবিসি ব্যাংক। গ্রামেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দিতে দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় ক্ষুদ্র ঋণ (মাইক্রোক্রেডিট) দিতে পার্টনারশিপ ব্যাংকিং চালু করা হয়েছে। গতকাল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে নতুন ২২টি উপশাখার উদ্বোধন করেন এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল। এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী গোলাম আউলিয়া, এসকেএস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী রাসেল আহম্মেদ লিটন, ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও হারুনুর রশিদ, এফআই এন্ড বিডি বিভাগের প্রধান কাজী শাফায়েত কবির কানন ও সাপোর্ট সার্ভিস ও ব্রাঞ্চেস বিভাগের প্রধান মেজর (অব.) পারভেজ হোসেন।
উপশাখাগুলো হলো কুড়িগ্রামের আমিন মোড়, গাইবান্ধার ভাতগ্রাম, কোমরপুর, চকগোবিন্দ, বগুড়ার লাহিড়ীপাড়া, দুপচাঁচিয়া, আদমদীঘি, সাবগ্রাম, বাগবাড়ী, পল্লীমঙ্গল, সান্তাহার, নাটোরের বনপাড়া, দিনাজপুরের বিরামপুর, পাবনার কাশীনাথপুর, বনগ্রাম ও আতাইকুলা, ঈশ্বরদীর কলেজ রোড, রাজশাহীর খড়খড়ী, রংপুরের চতরাহাট, মাহিগঞ্জ, হাসানপুর ও সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল। আগের ৪৯টিসহ এনআরবিসি ব্যাংকের পার্টনারশিপ ব্যাংকিংয়ের আওতায় উপশাখার সংখ্যা দাঁড়াল ৭১টিতে।
এ সময় এস এম পারভেজ তমাল বলেন, গ্রামীণ মানুষদেরকে সিঙ্গেল ডিজিট সুদে ঋণ সুবিধা দিতে এনআরবিসি ব্যাংক এই পার্টনারশীপ ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করেছে। এই উদ্যোগ গ্রামের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন, নতুন উদ্যোক্তা তৈরি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করবে। আমাদের লক্ষ্য কর্মসংস্থানের জন্য মানুষকে শহরমুখী না করে গ্রামেই শহরের সেবাগুলোকে নিয়ে যাওয়া। সরকারের গ্রামকে শহরায়ন কর্মসূচিকে বেগমান করে সোনার বাংলা গড়ার কাজকে এগিয়ে নিতে এনআরবিসি ব্যাংক এই অভিনব সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
নতুন শাখাগুলোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যাংকের কর্মকর্তারা, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, গ্রাহক, ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের সম্মৃদ্ধি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
যমুনা নদীতে নৌকা থেকে পড়ে নিহত ২, নিখেঁাজ ৫
নদী
ইনকিলাব ডেস্ক : সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে নৌকা থেকে পড়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও পাঁচজন নিখেঁাজ রয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এনায়েতপুর স্পারবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার পাতাসি গ্রামের জহির উদ্দিনের স্ত্রী ঝালিমন বেগম (৬০) ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার খুড়মা মধ্যপাড়া গ্রামের জব্বার আলীর স্ত্রী ফুলজান বেগম (৫০)। তাদের লাশ স্থানীয়রা উদ্ধার করেছেন। নিখেঁাজরা হলেন—জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের খুরমা তোতা মিয়ার ছেলে জাহিদ হোসেন (৮), ওমর আলীর স্ত্রী সুফি বেগম (৫০), মিন্টু হোসেনের স্ত্রী হেলেনা খাতুন (৩০) ও তার ছেলে ইয়াসিন (৬) এবং আব্দুস সাত্তার (৬০)।
এনায়েতপুর থানার ওসি (তদন্ত) জাকির হোসেন মোল্লা ও এনায়েতপুর পাক দরবার শরিফ কর্তৃপক্ষ জানান, দরবার শরিফের ২০২২ সালের বাৎসরিক ওরস উপলক্ষে জামালপুরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসছিলেন জাকেরানরা। বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে এনায়েতপুর স্পারবাঁধ সংলগ্ন যমুনা নদীতে আসামাত্রই প্রবল স্রোতে নৌকাটি কাত হয়ে যায়। এ সময় বেশ কয়েকজন জাকের বাঁশসহ পড়ে যান। এ সময় অন্যরা সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও নিখেঁাজ হন সাতজন। পরে স্থানীয়রা তল্লাশি চালিয়ে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় এখনও পাঁচজন নিখেঁাজ। তাদের উদ্ধারে রাজশাহীর ডুবুরি দল আনার প্রক্রিয়া চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।