পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বর্তমানে অস্থির বিশ্ব ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করে অশান্ত বিশ্বে শান্তি ফিরিয়ে আনতে মানবিক ও নিরাপদ জীবন ব্যবস্থা কায়েম করতে হবে। এজন্য আলেমদের যুগের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা প্রয়োজন। যুগসচেতন হতে হবে। যুগের চাহিদা পূরণে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। এজন্য আলেমদেরকে ধর্মীয় জ্ঞানের আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানেও পারদর্শিতা অর্জন করতে হবে। ভূগোল, ইতিহাস, তাসাউফ, সাহিত্য-সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও রাজনীতি নিয়ে আলেমদেরকে নতুনভাবে অধ্যায়ন করতে হবে। এজন্য শিক্ষকদেরকে গভীর মনোযোগের সাথে তালিম দিতে হবে। ছাত্রদেরকে উগ্রতা, উশৃঙ্খলতা ও সন্ত্রাস থেকে ফিরিয়ে শিক্ষার প্রতি মনোনিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
কওমি মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফাক্কিরে ইসলাম আল্লামা উবায়দুর রহমান খান নদভী এসব কথা বলেন। বুধবার রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর একটি মাদরাসা মিলনায়তনে শায়খুল হাদিস মাওলানা আব্দুল আওয়ালের সভাপতিত্বে ও মাওলানা কবির আহমদ আড়াইহাজারীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কোর্সে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কওমি মাদরাসা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাওলানা একে এম আশরাফুল হক বলেন, এখনই যদি আমরা কওমি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা বিষয়ে সতর্ক ও সচেতন না হই, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে শুধু কওমি মাদরাসা শিক্ষা নয়; বরং মুসলিম জাতিসত্তা হুমকির সম্মুখীন হবে। বিশ্বায়নের এই যুগে আলেম-উলামা ও ছাত্র- শিক্ষকদের সময়ের জ্ঞান অর্জন অপরিহার্য বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এসময় উক্ত প্রশিক্ষণ কোর্সে আরো বক্তব্য রাখেন, মাওলানা মুখলেছুর রহমান কাসেমী, শায়েখ মুফতি কামাল উদ্দিন শিহাব কাসেমী, খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আজিজুর রহমান, মাওলানা হুসাইন আহমদ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা মিজানুর রহমান ও মুফতি সুলতান আহমদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।