পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার মুহতামিম (মহাপরিচালক) হিসেবে নাম ঘোষণার মুহূর্তেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন মুফতিয়ে আজম আল্লামা আবদুস সালাম চাটগামী। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। গতকাল বুধবার সকালে হাটহাজারী মাদরাসায় শূরার বৈঠক চলাকালে মাদরাসা কক্ষে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রবীণ এ আলেমেদ্বীনকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার আকস্মিকতায় হতবিহ্বল মাদরাসা পরিচালনা কমিটির নেতারা। তাদের মাঝে নেমে আসে শোকের ছায়া। শোকাতুর এক পরিবেশে সভায় তাৎক্ষণিক কিছুক্ষণ আগে ঘোষিত সহকারী মুহতামিম মুফতি ইয়াহিয়াকে ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম হিসেবে ঘোষণা করা হয়। একইসাথে মঈনে মুহতামিম পদে মুফতি জসিম উদ্দিনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। মাওলানা কবির আহমদকে শিক্ষা পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। মুফতি আবদুস সালামের ইন্তেকালের খবরে মাদরাসায় ছুটে আসেন তার সাবেক ছাত্র ও স্বজনেরা।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর হেফাজতে ইসলারে আমির ও মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীর (রহ.) ইন্তেকালের পর মহাপরিচালকের পদটি খালি হয়। আল্লামা শফীর ইন্তেকালে এককভাবে কাউকে এ দায়িত্ব না দিয়ে তিনজন সিনিয়র শিক্ষককে মাদরাসা পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়। তাদের অন্যতম ছিলেন মুফতি আবদুস সালাম ও মুফতি ইয়াহিয়া। তখন শিক্ষা পরিচালক করা হয় হেফাজতের সাবেক আমির আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরীকে। তার ইন্তেকালের পর ওই পদটিও খালি হয়। এ নিয়ে মাত্র এক বছরের মাথায় হাটহাজারী মাদরাসা ও হেফাজতে ইসলামের তিনজন দায়িত্বশীল একে একে বিদায় নিলেন।
মহাপরিচালক নিয়োগ দিতে পূর্ব নির্ধারিত সময় সকাল ১১টায় বৈঠক শুরু হয়। হাটহাজারী মাদরাসার শূরা সদস্য ও ফটিকছড়ি জামেয়া উবাইদিয়া নানুপুর মাদরাসার মহাপরিচালক মাওলানা সালাহউদ্দিন নানুপুরী বলেন, বৈঠকে মুহতামিম পদে আবদুস সালাম চাটগামী নায়েবে মুহতামিম পদে মুফতি ইয়াহিয়া এবং মঈনে মুহতামিম পদে মুফতি জসিম উদ্দিনের নাম প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু ঘোষণাটি শোনার আগেই হার্ট অ্যাটাক করেন চাটগামী। তিনি তখন মাদরাসায় নিজের কক্ষে অবস্থান করছিলেন। শূরার সসদ্য না হওয়ায় তিনি বৈঠকে যোগ দেননি। তার ইন্তেকালের খবর পেয়ে মুফতি ইয়াহিয়াকে ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে সভা মূলতবি করা হয় বলে জানান তিনি। জানা যায়, ৭৫ বছর বয়সী মুফতি আবদুস সালাম নানা রোগে ভুগছিলেন। রাত ১১টায় হাটহাজারী মাদরাসায় বিশাল নামাজে জানাজা শেষে মুফতি আবদুস সালামের লাশ দাফন করা হয়।
নবনিযুক্ত মহাপরিচালক আল্লামা ইয়াহিয়া ১৯৪৭ সালে হাটহাজারী পৌরসভার আলমপুরে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ স্তর পর্যন্ত হাটহাজারী মাদরাসাতেই পড়াশোনা করেন তিনি। ১৯৭৩ সালে দাওরায়ে হাদীস সমাপ্ত করার পর শিক্ষকতা পেশায় নিযুক্ত হন। ১৯৯২ সালে তিনি হাটহাজারী মাদরাসায় সিনিয়র শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। প্রায় তিন দশক তিনি এ মাদরাসায় শিক্ষকতা করে আসছেন। গত এক বছর ধরে মাদরাসার পরিচালনা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.) ও জুনাইদ বাবুনগরীর (রহ.) পর হাটহাজারী মাদরাসার অন্যতম অভিভাবক মুফতি আবদুস সালাম চাটগামীর আকস্মিক ইন্তেকালে হাটহাজারী মাদরাসাসহ সারাদেশের কওমি অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত্যুকালে তিনি সাত ছেলে, চার কন্যা, আত্মীয় স্বজন, অগণিত শিক্ষাথীসহ অসংখ্য গুণাগ্রাহী রেখে যান। তিনি দীর্ঘদিন মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৩ সালে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার নলদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। গ্রামের মাদরাসায় প্রাথমিক পড়াশুনা শেষে ১৯৫৮ সালে বাবুনগর মাদরাসায় ভর্তি হন। ১৯৬৭ সালে চট্টগ্রামের জিরি মাদরাসায় চার বছর পড়াশুনা শেষে দাওরায়ে হাদীস সমাপ্ত করেন। ১৯৬৭ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য পাকিস্তানের বিখ্যাত জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া করাচিতে ভর্তি হন। সেখানে উচ্চতর হাদীস ও ফেকাহ নিয়ে পড়াশুনা করেন। পড়াশুনা শেষেই ওই জামেয়াতেই কার্যকরি মুফতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি পাকিস্তানের করাচিতে দীর্ঘ ৩০ বছর অবস্থানকালে প্রায় তিন লাখ লিখিত ফতোয়া দিয়েছেন। যা জামেয়ার ইতিহাসে অনন্য মাইলফলক। দারুল ইফতায় ৬০ খণ্ড সম্বলিত রেজিস্ট্রি বইতে এসব সংরক্ষিত আছে। তার লেখা রচনাবলীর মধ্যে রয়েছে- জাওয়াহিরুল ফাতওয়া ৪ খণ্ডে প্রকাশিত। ৫ম ও ৬ষ্ঠ খণ্ড প্রকাশিতব্য! (উর্দু)। আপকা সুওয়াল আওর উনকা জওয়াব আহাদীছ কি রৌশনি মেঁ (উর্দু), ইসলামী মায়িশাত কে বুনয়াদী উসূল (উর্দু), ইসলাম ও আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে মানব অঙ্গের ক্রয়-বিক্রয় (বাংলায় অনূদিত), রহমতে আলম (সা.) এর মকবুল দোয়া (উর্দু-বাংলা), মুরাওয়াজা ইসলামী ব্যাংকারী (উর্দু), হায়াতে শায়খুল কুল, তাজকেরায়ে মুখলিছ, মাকালাতে চাটগামী অন্যতম। তিনি ২০০০ সালে স্বদেশের ভালবাসা এবং দারুল উলুম হাটহাজারীর মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীর আহবানে দেশে ফিরে আসেন। ২০০১ সালে দারুল উলুম হাটহাজারীতে শিক্ষকতা শুরু করেন। তিনি একই বছর চট্টগ্রাম নগরীর চাক্তাইয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন দারুল ইফতা খাদেমুল কুরআস ওয়াস সুন্নাহ নামে ব্যতিক্রমধর্মি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ, উচ্চতর কেরাত ও হেফজ বিভাগ রয়েছে।
দেশের মুফতিয়ে আজম আল্লামা আব্দুস সালাম চাটগামীর ইন্তেকালে দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরাম ও বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ ও তার রূহের মাগফিরাত কামনা করেছেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ : হাটহাজারী মাদরাসার মজলিসে এদারির প্রধান মুফতিয়ে আজম আব্দুস সালাম চাটগামীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। পৃথক পৃথক বিবৃতিতে মরহুমের মাগফিরাত কামনা করেছেন দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই ও মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সেক্রেটারী আলহাজ আব্দুল আউয়াল মজুমদার, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলাম, জাতীয় তাফসীর পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ : মরহুম আল্লামা চাটগামীর ইন্তেকালে গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শায়খুল হাদিস আল্লামা মনসুরুল হাসান রায়পুরী, নির্বাহী সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহিম ইসলামাবাদী, মহাসচিব শায়খুল হাদিস হাফেজ মাওলানা ড.গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি শায়খুল হাদিস আল্লামা মুফতি শেখ মুজিবুর রহমান, সহ-সভাপতি মাওলানা শহিদুল ইসলাম আনসারী, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, মাওলানা আব্দুল হক কাওছারী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা রশিদ বিন ওয়াক্কাস, প্রিন্সিপাল মাওলানা বেলায়েত হোসাইন আল-ফিরোজী, মুফতি জাকির হোসাইন খান, মুফতি আতাউর রহমান খান, ও মাওলানা আবু বকর সরকার।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন : মরহুমের ইন্তেকালে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রধান আমীরে শরীয়ত আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী এক শোক বার্তায় বলেন, অসংখ্য আলেমের ওস্তাদ আল্লামা মুফতি আব্দুস সালাম চাটগামী ছিলেন উপমহাদেশের শীর্ষ স্থানীয় একজন মুফতি ও বিজ্ঞ আলেমেদ্বীন। তিনি মরহুমের রূহের মাগফিরাত ও জান্নাতের উঁচু মাকাম কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার, ভক্ত, গুনগ্রাহী ও অসংখ্য ছাত্রবৃন্দের প্রতি সমবেদনা জানান।
কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড গওহরডাঙ্গা : বিদগ্ধ আলেম মুফতিয়ে আজম আব্দুস সালাম চাটগামীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মুহতামিম, খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ও কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড গওহরডাঙ্গার সভাপতি আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন।
ইসলামী ঐক্যজোট : ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা আব্দুর রকীব ও মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল করীম একযুক্ত বিবৃতিতে মরহুম আল্লামা আব্দুস সালাম চাটগামীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে তার রূহের মাগফিরাত কামনা করেছেন।
জমিয়াতুল মোদার্রেছীন বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল : মরহুম মুফতিয়ে আজম আল্লামা আব্দুস সালাম চাটগামীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে তার রূহের মাগফিরাত কামনা করেছেন জমিয়াতুল মোদার্রেছন বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের সভাপতি ভাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু ইউসুফ মৃধা।
মরহুমের ইন্তেকালে আরো যেসব নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করে তার রূহের মাগফিরাত কামনা করেছেন, তারা হচ্ছেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা শাইখ যিয়াউদ্দিন, সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, সহ-সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী ও যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, ঢাকা মহানগরী সভাপতি মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আব্দুল আজীজ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মুফতি মুজিবুর রহমান ও নির্বাহী সভাপতি মাওলানা এ কে এম আশরাফুল হক, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসনাত আমিনী ও মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, বাতিল প্রতিরোধ পরিষদের সভাপতি হাজী জালাল উদ্দিন বকুল, খিদমাহ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও রাজধানীর গুলিস্তান পীর ইয়ামেনী জামে মসজিদের খতিব মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড গওহরডাঙ্গার মহাসচিব মাওলানা শামছুল হক, ছদর ছাহেব রহ.-এর পৌত্র মুফতি উসামা আমীন, খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আজিজুর রহমান, তানজিমুল মুদাররিসিন বাংলাদেশের সেক্রেটারি মাওলানা ঝিনাত আলী, কওমি মঞ্চের চেয়ারম্যান মুফতি মোহাম্মদ তাসনীম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।