Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্রোত নিয়ন্ত্রণে এলেই মাওয়ায় ফেরি চলাচল শুরু

সাংবাদিকদের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পদ্মায় স্রোত নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত মাওয়া ঘাট দিয়ে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে যদি স্রোত নিয়ন্ত্রণে আসে তবে মাওয়া ঘাটে ফেরি চলাচল শুরু হবে। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাওয়ায় এখনও ফোর নট কারেন্ট (৪ নটিক্যাল মাইল বেগে স্রোত) চলছে, এর নিচে এলে তখন এটা আমরা চালু করব। এখন পানির প্রবাহ বাড়ছে। আজকেও খবর নিয়েছি অতিরিক্ত পানির প্রবাহ আছে।

তিনি বলেন, এ অবস্থায় হয়তো মাওয়া থেকে বাংলাবাজার যাওয়ায় অসুবিধা নেই কিন্তু ফেরাটা খুব সমস্যা। ঝুঁকিটা আমরা নিতে চাচ্ছি না স্রোতের মধ্যে। গত বছর যখন ফেরিগুলো চলেছে তখন স্প্যানগুলো বসানো ছিল না। এখন একটা সুনির্দিষ্ট পকেটের মধ্য দিয়ে ফেরিগুলো চালাতে হয়। কারণ সব স্প্যান বসে গেছে, পদ্মা সেতু অলমোস্ট রেডি আছে বলা যায়। এমন অবস্থায় যখন ঘূর্ণায়নগুলো শুরু হয় তখন কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করাটা কঠিন হয়ে যায়।

তিনি উল্লেখ করেন, যেহেতু কয়েকটা ঘটনা ঘটে গেছে। এই ঘটনাগুলোর কারণে আমরা যতটুকু তাদের উদাসীনতা ও কর্তব্যে অবহেলা ছিল সেজন্য ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছি। কিন্তু তারপরও যেহেতু জনগণের মধ্যে এ বিষয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখেছি এবং যেটার ব্যাপারে সবাই তাদের মতামত দিয়েছেন। সেই কারণে বলেছি, এ ঘটনাগুলো ঘটার মধ্য দিয়ে দেশবাসীকে আর আতঙ্কের মধ্যে রাখতে চাই না।

তিনি আরো বলেন, পদ্মা সেতু একটি সেনসেটিভ জায়গায় চলে গেছে। দেশের মানুষ এ সেতুকে আপন স্থাপনা মনে করে। কাজেই এই জায়গায় খুব সতর্ক আছি। পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া দিয়ে পারাপারে মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে, কষ্ট হচ্ছে। পানির এই স্রোতটা কমে না যাওয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ রাখছি বলেও জানান তিনি।

বিকল্প ফেরিঘাট চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, বিকল্প ফেরিঘাট আমরা মাঝিরকান্দিতে তৈরি করেছি। কিন্তু ১৩ নম্বর পিলারের ওখানে পলি জমে গেছে, বালু জমে গেছে, সেখানে ফেরি চলাচল সম্ভব না। আমরা দু-বার ট্রায়াল দিতে গিয়েও সেটি সম্ভব হয়নি, সেটা ড্রেজিং করতে হবে। ড্রেজার নিয়ে গিয়েছিলাম, পানির স্রোতের কারণে ড্রেজার টিকতে পারেনি। ড্রেজার নিতে গিয়ে আরেকটা ঝামেলা যদি হয়ে যায়। তাই এই মুহূর্তে আমরা ঝুঁকি নিতে চাচ্ছি না।

তিনি বলেন, হরিণা ও আলুবাজারে আমরা ফেরি বাড়িয়ে দিয়েছি। আমরা পাটুরিয়া, দৌলতদিয়া ও কাজিরহাট, আরিচা রুটে ফেরি বাড়িয়ে দিয়েছি। আমার ধারণা আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে। পদ্মা তো আনপ্রেডিকটেবল। আজ এ জায়গায় আছে, কাল আরেক রূপ নিতে পারে। যখন এটা আমাদের আয়ত্বের মধ্যে, নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আসবে, তখনই আমরা ফেরি চলাচল শুরু করে দেব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্রোত নিয়ন্ত্রণ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ