Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমি গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করি। এই আয়ের ওপর আমার পরিবারের আটজন সদস্য নির্ভরশীল। সুদী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার কোনো ইচ্ছা নেই। ছোটবেলা থেকেই ইসলামের নিয়ম কানুন মেনে চলি। আমি অনেক চেষ্টা করেও অন্য কোনো চাকরি পাইনি। এখনো আন্তরিকতার সাথে চেষ্টা করছি একটা হালাল আয়ের জন্য। আমার বয়স ৩৭ বছর। এম এ পাশ করেছি। ব্যবসা করার মতো পুজি নেই। আমি এখন কি করব? আমার ইবাদত কি আল্লাহর কাছে কবুল হবে? পরিবারের কথা চিন্তা করে চাকরি ছাড়তেও পারছিনা।

মো. সোহেল
ইমেইল থেকে

প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৮:০৫ পিএম

উত্তর : সুদনির্ভর প্রতিষ্ঠানের লেনদেন ও সুদ সংশ্লিষ্ট কাজ ছাড়া অন্য কোনো সাধারণ শ্রম, যেমন ড্রাইভার, মালি, ক্লিনার, ইঞ্জিনিয়ার, শ্রমিক প্রভৃতি ব্যক্তির উপার্জন হালাল হতে পারে। মূল সুদ বিষয়ক কাজের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বেতন হালাল হওয়া নিয়েই সমস্যা। আপনি যেহেতু বিষয়টি বোঝেন, সুতরাং অন্য কোনো চাকুরী বা পেশা আন্তরিকভাবে তালাশ করতে থাকুন। পাওয়া মাত্রই এ চাকরিটি ছেড়ে দেবেন। আপনার গুনাহ হচ্ছে কি না বা ইবাদত বন্দেগী কুবল হচ্ছে কি না এ বিষয়টি শরীয়তের সুদ ও হারাম উপার্জন বিষয়ক মাসআলা থেকেই বোঝা যায়। আলাদা করে এটি বলার অপেক্ষা রাখে না। আপনি তওবা ইস্তেগফারের পাশাপাশি অন্য পেশায় চলে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকুন।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]

ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রামীণ ব্যাংক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ